প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশ দেশ বিরোধীদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহের মধ্যে যখন দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চলছে, তখন বাংলা নিয়ে ব্যাপক চিন্তা তৈরি হয়েছে। গতকালই অমিত শাহ বাংলায় এসে একটি সভা থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। আর সেই অমিত শাহ রাজ্য ছাড়তে না ছাড়তেই এবার কড়া অ্যাকশন নিতে শুরু করলো তার দপ্তর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধিনস্ত এনআইএ।
বলা বাহুল্য, ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে যখন সংঘর্ষ বিরতি চলছে, ঠিক তখনই খাস শহর কলকাতায় থেকে দেশবিরোধী কাজ করার অভিযোগ ছিল। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাংলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে যে আর টালবাহানা করা যাবে না, তা অমিত শাহ ফিরে যাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যারা বাংলার ভেতরে থেকে বাংলার সর্বনাশ করছে, এবার তাদের বিরুদ্ধে ঘুম ছোটানোর কাজ যে শুরু হয়ে গেল, তা বলাই যায়। কিন্তু কি পদক্ষেপ নিয়েছে এনআইএ?
জানা গিয়েছে, খাস কলকাতা শহরে থেকে দেশের বিরুদ্ধে কাজকর্ম করার অভিযোগ উঠেছিল মোমিনপুরের ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মাসুদ আলমের বিরুদ্ধে। যেখানে পাক অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সেই মাসুদ আলম এবং ওয়াকিলকে তলপ করেছে এনআইএ। ইতিমধ্যেই এনআইএর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মাসুদ আলম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলা যে দেশবিরোধীদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা, তা একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর এর জন্য সবথেকে বেশি দায়ী এই রাজ্যের প্রশাসন এবং পুলিশের ব্যর্থতা বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে এত কিছু দেখার পর আর চুপ করে বসে থাকতে পারে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই দেশ বিরোধী কাজের অভিযোগে মোমিনপুরে ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের বিরুদ্ধে এনআইএর এই পদক্ষেপ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, বাংলায় থেকে দেশ বিরোধী গদ্দারদের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে।