প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা দেশের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এক সময় এই ঘটনাকে কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়েছে দেশ। কিন্তু আবার হংকং, সিঙ্গাপুরে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল। তবে বর্তমানে যে ভাইরাস দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে, তার ক্ষতিকারক প্রভাব অতটা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বাংলাতে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, আবার একাধিক বিধি নিষেধ জারি করা হবে না তো? আবার হবে না তো লকডাউন?
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, রাজ্যে ক্রমশ প্রতিদিন বাড়তে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মূলত, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন ব্যক্তি। যার ফলে গোটা বাংলা জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩১ জনের কাছাকাছি। আর যেভাবে করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে, তাতে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে গরীব মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে আশঙ্কার মেঘ।
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গোটা দেশজুড়েই এই করোনা ভাইরাস আবার নতুন করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৬১ জন মানুষ। চিকিৎসকদের মতে, সময় থাকতেই হাল ধরা উচিত স্বাস্থ্য দপ্তরের। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, প্রত্যেকেরই এখন থেকেই কিছু কিছু করে বিধিনিষেধ জারি করা উচিত। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা উচিত সকলের। তাহলেই করোনার যে ভয়াবহ রূপ, তা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
তবে সতর্ক করার পাশাপাশি তারা বেশ কিছু আশার কথাও শোনাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার এবারের যে ভাইরাস, তা অতটা ক্ষতিকারক নয়। তবে তা দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যাহু হু করে বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই আক্রান্তের সংখ্যা কমানোর জন্য কিছু সচেতনতা পালন করা উচিত সকলের। তাহলেই লকডাউন, বিধিনিষেধ এই সমস্ত কিছুকে এড়িয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরতে পারবেন সাধারণ মানুষ। আর যদি তারা করোনাকে পাত্তা না দিয়ে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি পালন না করেন, তাহলে আগামী দিন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে করোনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি বড় কোনো কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় প্রশাসনকে, তখন আখেরে ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষের বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।