প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তবে এতদিন দিল্লি বাংলা নিয়ে কেন সিরিয়াস হচ্ছে না, এই প্রশ্ন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল। কিছুদিন আগেই রাজ্যে এসে বিজেপি কর্মীদের উন্মাদনা বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সম্প্রতি নতুন রাজ্য সভাপতি পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। আর তারপরেই এবার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা অত্যন্ত গভীরভাবে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এবার বাংলা নিয়ে আর কোন কম্প্রোমাইজ করতে রাজি নয় স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। কি সেই খবর?
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অর্থাৎ বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম বঙ্গ সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের আগেই শাসক দলকে ঝটকা দিয়ে আগামী ১৮ তারিখ দমদমের মাটিতে সভা করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। আর কিছুদিন আগেই নরেন্দ্র মোদী আসার পর আবার যদি তিনি চলতি মাসের রাজ্যে আসেন এবং নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য হওয়ার পর বঙ্গ বিজেপিকে তিনি ঠিক কি বার্তা দেন, তার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বাংলা নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস কেন্দ্রীয় বিজেপি। সকলেই চাইছে, বাংলা থেকে এই তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে। কারণ তৃণমূল সরকারের ফ্যাসিস্ট রাজনীতির জন্য গোটা দেশ সর্বনাশের মুখে পড়তে পারে। তাই নরেন্দ্র মোদী বাংলাকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আগামী দিনে তিনি অবশ্যই রাজ্যে এসে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের পথ বাতলে দেবেন এবং গোটা রাজ্যবাসীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তার রাজনৈতিক বার্তা শোনার অপেক্ষায় গোটা বাংলা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, বঙ্গ বিজেপির নয়া সভাপতির শমীক ভট্টাচার্য হওয়ার পরেই একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, বাংলায় শুভেন্দু অধিকারীকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। এক্ষেত্রে শমীক ভট্টাচার্যকে পুরনো মুখ হিসেবে চেয়ারে বসানো হলেও, আন্দোলনের ক্ষেত্রে যে শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রধান মুখ, তা ধীরে ধীরে অনেক ঘটনা পরম্পরার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই সত্যিই যদি যে সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ সমাবেশের আগেই রাজ্যে এসে সভা করেন তাহলে তা বিজেপি নেতা কর্মীদের কাছে ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে যথেষ্ট উজ্জীবিত হওয়ার মত কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।