প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
করোনা এসে মানুষের জীবন যাপন থেকে শুরু করে জীবন ধারা অনেকটাই পাল্টে দিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে অনেকেরই এখন মুখে মুখে শোনা যায় যে, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর থেকেই শরীরের বিভিন্ন অসুখ দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি একের পর এক কম বয়সী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, এটা করোনা ভ্যাকসিনের ফলে আরও বেশি হচ্ছে না তো? আর এসবের মধ্যেই এবার বড় তথ্য দিলেন এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ রনদীপ গুলেরিয়া। কি বলেছেন তিনি?

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কম বয়সী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর সেই ঘটনায় সবথেকে বড় প্রশ্ন উঠছে যে, করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে পরিস্থিতি তো এতটা প্রতিকূল হয়নি! তাহলে করোনা ভ্যাকসিনের কারণে কি কম বয়সি ব্যক্তিদের এখন হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে! আর সেই নিয়ে তথ্য দিতে গিয়ে এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃ রনদীপ গুলেরিয়া বলেন, “অনেকেই ভাবছেন, করোনা ভ্যাকসিন নিরাপদ ছিল না। কিন্তু আইসিএমআর এবং এইমসের গবেষণায় স্পষ্ট ভাবে দেখা দিয়েছে যে, এই ধরনের কোনো সংযোগ নেই। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমরা করোনার আগে থেকেই তরুণদের হৃদরোগে আক্রান্ত হতে দেখেছি। এগুলো সাধারণত জিনগত কারণ এবং প্রধান জীবন যাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত।” এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না চললে এই বিপদ আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। অর্থাৎ করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে কম বয়সী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার যে কোনো সম্ভাবনা নেই, তা স্পষ্ট করে দিলেন এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর স্বাভাবিক নিয়মে মানুষ অসুস্থ হলেও, তা নিয়ে অনেকে এই করোনা ভ্যাকসিনকেই দায়ী করেছেন। অনেকেই বলেছেন, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরেই শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতি হচ্ছে। আর ক্রমাগত কম বয়সী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক বৃদ্ধি হওয়ার কারণে অনেকেই মনে করতে শুরু করেছিলেন যে, করোনা ভ্যাকসিনই এর পেছনে দায়ী। কিন্তু এর সঙ্গে যে করোনা ভ্যাকসিনের কোনো সম্পর্ক নেই, বরঞ্চ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের ফলেই এবং জীবন যাপন অন্যরকম হওয়ার কারণেই যে কম বয়সী ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাক বাড়ছে, তা যুক্তি সহকারে বুঝিয়ে দিলেন ডঃ রনদীপ গুলেরিয়া।