প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গোটা দেশের এখন নজর রয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এতদিন সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার থাকলেও তার ভবিষ্যৎ কি, তা নিয়ে যেমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনই ইন্ডিয়া জোট এখানে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা তাদের সমীক্ষা করে। আর সেই সমীক্ষাতেই উঠে এসেছে চমকে দেওয়া তথ্য। কিন্তু কি রয়েছে সেই সমীক্ষাতে?

জানা গিয়েছে, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সি ভোটারের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই সমীক্ষক সংস্থার সমীক্ষায় ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে যাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে সেই তেজস্বী যাদবের জনপ্রিয়তা কিন্তু অনেকটাই ওপরের দিকে রয়েছে। বর্তমানে ৩৫ শতাংশ মানুষ তাকে পছন্দ করছেন বলে জানানো হয়েছে সেই সমীক্ষায়। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মুখী হিসেবে তেজস্বী যাদবের পরেই জনপ্রিয়তার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। জুন মাসের করা সমীক্ষায় ১৮ শতাংশ মানুষ তাকে পছন্দ করছেন বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কি পরিস্থিতি? গত ফেব্রুয়ারি মাসে নীতীশ কুমারকে ১৮ শতাংশ মানুষ পছন্দ করলেও, এপ্রিলে সেই শতাংশের পরিমাণ ১৫ তে এসে নেমেছিল। তবে জুন মাসের করা সমীক্ষায় তা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে তা তেজস্বী যাদব এবং প্রশান্ত কিশোরের থেকে পিছিয়ে। সেক্ষেত্রে সমীক্ষক সংস্থার এই রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, নীতীশ কুমারের এবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া বেশ কিছুটা চাপের বলেই মনে করছেন একাংশ।

অন্যদিকে বিহারের মাটিতে রয়েছে রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি, যা বর্তমানে দেখভাল করছেন, তার পুত্র তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। এক্ষেত্রে তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে পছন্দ করছেন প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ বলেই জানানো হয়েছে সমীক্ষায়। সাথে সাথে বিহারের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কি সম্ভাবনা রয়েছে? এপ্রিলে তার জনপ্রিয়তা ১৩ শতাংশ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও, বর্তমানে তা অনেকটাই কমে এসেছে। জুন মাসের করা সমীক্ষায় সমীক্ষক সংস্থা এই সম্রাট চৌধুরীর জনপ্রিয়তা ১০ শতাংশ হিসেবে দেখিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যেকবার ভোটের আগেই সমীক্ষক সংস্থা তাদের রিপোর্ট সামনে আনে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই যে সমীক্ষক সংস্থা রিপোর্ট হুবুহু মিলে যায়, তা কিন্তু নয়। তারা একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে মাত্র। এক্ষেত্রে ভোটবাক্স খোলার পরেই স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাবে যে, কার হাতে যাচ্ছে বিহারের ক্ষমতা! কিন্তু নির্বাচনের আগে সমীক্ষক সংস্থার যে রিপোর্ট, তাতে যে অত্যন্ত চাপে রয়েছেন নীতীশ কুমার এবং জনপ্রিয়তার নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন তেজস্বী যাদব, তা সি ভোটারের এই সর্বশেষ রিপোর্টেই স্পষ্ট। তবে নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে ভোটবাক্স খোলার পর সমীক্ষক সংস্থার এই রিপোর্টের সঙ্গে বাস্তব কতটা মেলে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।