প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানের শিক্ষা বলতে কিছু নেই। উল্টে কিছুদিন যুদ্ধ বিরতি পালন করার পর এবার পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী যেভাবে ভারতকে হুমকি দিলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এবার আর পাকিস্তানকে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হবে না। এবার তাদেরকে এমন যোগ্য জবাব দিতে হবে যে, তাতে তারা আর মাথা তুলে এই হুমকি দেওয়ার মতও ক্ষমতা না রাখতে পারে। কিন্তু কি ঘটনা ঘটেছে! কেন এমন বলা হচ্ছে? কি এমন নির্লজ্জতা শুরু করে দিলো পাকিস্তান?
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে মোক্ষম টাইট দিয়েছে ভারত। আর তাতেই রীতিমত পাকিস্তানের হাহাকার অবস্থা। এখন তারা জল না পেলে যে শুকিয়ে মরবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেরা ভয় পেয়েছে জন্য এবার ভারতকে ভয় দেখানোর রাস্তা বেছে নিতে শুরু করলো পাকিস্তান। যেখানে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান এবং সেখানকার প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো রীতিমত হুমকি দিয়ে বসলেন ভারতের উদ্দেশ্যে. তিনি বলেন, “ভারত যদি জল দিতে রাজি না হয়, আমাদের আবার যুদ্ধে নামতে হবে। ভারতের সামনে দুটি পথ খোলা আছে, ন্যায্যভাবে জল ভাগাভাগি করা অথবা আমরা ছয়টি নদীর সবকটি থেকে নিজেদের কাছে জল পৌঁছে দেব। সিন্ধুর ওপর আক্রমণ এবং ভারতের দাবি যে, সিন্ধু জলযুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে এবং এটি স্থগিত রয়েছে। প্রথমত, এটি অবৈধ। কারণ আইডব্লিউটি স্থগিত নেই। এটি পাকিস্তান এবং ভারতের জন্য বাধ্যতামূলক। জাতিসংঘের সনদ অনুসারে জল বন্ধ করার হুমকি অবৈধ।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের এই সামান্য পদক্ষেপেই রীতিমত দিশেহারা হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। তারা ভারতকে আর কোনোভাবেই কাবু করতে পারবে না। না সামরিক দিক থেকে, না অন্য কোনো দিক থেকে। কারণ পাকিস্তানকে কাবু করার মত কোনো অস্ত্র নেই। উল্টে ভারত তাদের যে শিক্ষা দিয়েছে, তাতে তারা তা মনে রাখবে। তাই এই সমস্ত যুদ্ধের হুমকি দিয়ে পাকিস্তান চাইছে যে, যাতে তাদের জল দেওয়া হয়। কোনোভাবেই তা পাওয়া যাচ্ছে না জেনে এবার সেখানকার প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী নির্লজ্জ হুমকি দেওয়া শুরু করলেন ভারতের উদ্দেশ্যে। তবে এটাকে যদি ভারত সিরিয়াসলি নেয় এবং এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে আরও বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে বসে, তাহলে পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর মত ক্ষমতা হবে তো? যখন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছে, তখন সেই পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী যে দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্তব্য করলেন, তাতে তার বিরুদ্ধে সেই দেশের সরকার কি পদক্ষেপ নেয় এবং যদি তারা কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ভারত এই পাকিস্তানের নির্লজ্জতাকে বন্ধ করতে তাদের কি শিক্ষা দেয়, সেদিকেই নজর গোটা বিশ্বের।