প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিরোধীদের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই দাবি করা হয়, পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে হিন্দুদের আতংকের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে দিকে দিকে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছেন। কিন্তু তারপরেও এই রাজ্যের পুলিশ যারা হিন্দুদের ওপর নির্যাতন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে যারা হিন্দু যারা সনাতনী সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন, তাদেরকেই জেলে ভরার জন্য উদ্যোগী। কারণ এর পেছনে এই রাজ্যের শাসক দলের ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। তারা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করছে এবং তার ফলে হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার যে চিত্র সামনে এলো, তারপর বিরোধীদের সেই প্রশ্নটাই ক্রমশ উস্কে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু ফের কি ঘটে গেল বাংলার বুকে?

জানা গিয়েছে, গত ১৯ জুন পশ্চিমবঙ্গের শক্তিরুপা সাধুখা নামে এক ব্যক্তি সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায় যে, ভগবান পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্রের ছবিতে একটি মানুষের মুখ যুক্ত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের আবেগে যথেষ্ট ভাবে আঘাত করে। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি সেই ছবিটি মুছে ফেললেও, তা নিয়ে বিতর্ক থামেনি। ইতিমধ্যেই হিন্দু ভয়েস নামক একটি পেজ থেকে সেই পোস্টের কথা উল্লেখ করে শক্তিরূপা সাধুখার বিরুদ্ধে যাদের দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এই ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের কাছে। কিন্তু কেন বাংলার একজন ব্যক্তি এই পোস্ট করলেন, আর তার জন্য বাংলার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হলো না? কেন উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য আবেদন জানালো হিন্দু ভয়েস?

হিন্দু ভয়েস নামে ওই সংগঠনের দাবি যে, শক্তিরুপা সাধুখা পশ্চিমবঙ্গের বাংলা পক্ষের সদস্য। তাই তার বিরুদ্ধে সেই রাজ্যের পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়েই তারা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের কাছে এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপের জন্য আবেদন জানিয়েছে। যদিও বা এই শক্তিরুপা সাধুখার সঙ্গে বর্তমানে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তাকে সংগঠন বিরোধী কাজকর্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাপক্ষের নেতা কৌশিক মাইতি। তবে তার সঙ্গে বাংলা পক্ষ সম্পর্ক রাখলো কি রাখলো না, সেটা নিয়ে কেউ ভাবিত নয়। কিন্তু কেন একজন ব্যক্তি এইভাবে হিন্দু দেব-দেবীকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন, আর তাকে ছেড়ে রাখা হবে? এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, তাহলে কোনো একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে রক্ষা করার জন্যই কি বসে আছে এই রাজ্যের প্রশাসন? শক্তিরুপা সাধুখা নামে যে ব্যক্তি হিন্দুদের দেবতাকে নিয়ে এত বড় অপমানজনক পোস্ট করলেন, হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করলেন, তার সাথে সাথেই কেন এই রাজ্যের পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করল না? তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ অনুযায়ী এটাই সত্যি হতে চলেছে যে, এখানে হিন্দুরা নিরাপদ নয়? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।