প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে জেতা খুব একটা সহজ হবে না বুঝে সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে অনেক চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দিতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুয়ারে রেশন থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকার, লক্ষীর ভান্ডারের মত একাধিক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। মানুষ তাকে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি গোটা রাজ্য জুড়ে তৈরি হয়েছে, যেভাবে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছেন, তাতে তৃণমূল সরকারকে যদি ২০২৬ -এ সরানো না যায়, তাহলে আর কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকবে না বলে দাবি করছে বিজেপি। ক্রমাগত মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে মহেশতলার ঘটনার পর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। তারা আদৌ ২০২৬ সালে ২ অঙ্কের সংখ্যার আসন পেরোতে পারবে কিনা, সেটা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে শাসকদলের একাংশের মধ্যে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার ভোটে জিততে কি আবার চমকদারি শুরু করে দিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়.
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য সরবরাহ দপ্তর একটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যেখানে রেশন প্রদানের ক্ষেত্রে যে সকল পরিবারে পাঁচ জনের বেশি সদস্য রয়েছেন, তারা পেতে চলেছেন বড় সুবিধা। কি সেই সুবিধা? যাদের অন্তোর্দয় অন্ন যোজনা কার্ড রয়েছে এবং সেই সমস্ত উপভোক্তার পরিবারের সদস্য যদি পাঁচজনের বেশি হয়, তাহলে তারা এবার থেকে অতিরিক্ত চাল, গম এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পাবেন। আর রাজ্যের খাদ্য এবং সরবরাহ দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের পেছনে ২০২৬ এর ভোট বৈতরণী পার হওয়ার একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনা রয়েছে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।
বিরোধীদের দাবি, এই সমস্ত চমকদারি প্রকল্প ভোটের আগেই ঘোষণা হবে রাজ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে নিয়েছেন যে, তার আর এবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই গরিব মানুষদের মন পাওয়ার জন্য এখন তিনি খাদ্য দপ্তরকে দিয়ে এই সমস্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করাচ্ছেন। তবে রাজ্যের যারা বঞ্চিত গরীব মানুষ, তারা আর কোনোমতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই দান খয়রাতিতে ভুলবেন না। নিজেদের সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য হিন্দুরা একত্রিত হবেন এবং আগামী ২০২৬ এর ভোটে যতই চমকদারি প্রকল্প সামনে আনার চেষ্টা করুন না কেন মুখ্যমন্ত্রী, তাতে লাভের লাভ হবে না। তিনি যেমন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তেমনই তার দল নবান্ন থেকে উৎখাত হবে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।