প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দলের পক্ষ থেকেও তাকে এর আগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর এবার আরও বড় বিপদের মুখে পড়ে গেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন। যেখানে তার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই বছরের জন্য আর চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু কি এমন হলো, যার জন্য তার রেজিস্ট্রেশন দু বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো? তাহলে কি এক্ষেত্রেও তিনি অন্য কোনো কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন?

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে কড়া পদক্ষেপ। আগামী ২ বছর তার রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ড থাকার কারণে তিনি চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে গত বৃহস্পতিবার তাকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল। অভিযোগ, বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করে এতদিন চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে এই শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে। তবে বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করার পরেও তিনি তা ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলকে জানাননি। যার পরিপ্রেক্ষিতেই তার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়।

যদিও বা তার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না বলেই দাবি করেছেন সেই শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “মেডিকেল কাউন্সিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তলব করেছে. কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। মেডিকেল কাউন্সিল প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। এফআরসিপি ডিগ্রি সাম্মানিক। রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ব্যবহার করা যায়।” তবে এতদিন ধরে তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ যদি বিদেশি ডিগ্রি ব্যবহার করেই মানুষের চিকিৎসা করেন, তাহলে কেন এতদিন তা নজরে এলো না? দল তাকে সাসপেন্ড করার পরেই কি তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিলো মেডিকেল কাউন্সিল? কেন আগেভাগেই তারা এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখেনি? তাহলে শান্তনুবাবু দলের চক্ষুশূল হওয়ার পরেই কি তাকে আরও কাবু করতেই এই ধরনের চেষ্টা? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।