প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঝেমধ্যেই বলেন যে, তৃণমূলে পদ কারও চিরস্থায়ী নয়। কিন্তু বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলে, যারা তৃণমূলকে অবৈধ উপায়ে সুবিধা করে দিতে পারবে, তারাই তৃণমূলের কাছে রত্ন। এখানে প্রকৃত রাজনৈতিক লোকেদের কোনো দাম নেই। তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। মাঝেমধ্যেই এই দাবি করতে দেখা যায় বিরোধীদের। তবে এসবের মধ্যেই এবার ভাঙ্গড় ১ নম্বর ব্লকের প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতে যে সমীকরণ দেখা গেল, যে চিত্র সামনে এলো, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দু’বছর আগে পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের চেয়ারে বসা বেবি বেগমকে সরিয়ে এবার সেই চেয়ারে বসলেন শামসুল আলম। কিন্তু হঠাৎ দুই বছরের মধ্যে এই বদল এলো কেন?

জানা গিয়েছে, ভাঙ্গড় ১ নম্বর ব্লকের প্রাণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন বেবি বেগম। যার স্বামী আবার সেই ব্লকেরই দাপটে তৃণমূল নেতা এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তবে উপপ্রধান হওয়ার পর বেবী বেগম পঞ্চায়েতে একেবারেই সময় দিতেন না বলে অভিযোগ সেই পঞ্চায়েতের প্রধানের। আর এবার সেই বেবী বেগমের জায়গায় উপপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শামসুল আলম। যিনি অতীতে প্রায় দীর্ঘদিন এই উপপ্রধানের পদে ছিলেন বলেই খবর।

এদিন বেবি বেগম ইস্তফা দিতেই উপপ্রধানের দায়িত্বে বসেন শামসুল আলম। কিন্তু কেন হঠাৎ করে এই পরিবর্তন আনা হলো দুই বছরের মধ্যে? এদিন গোটা প্রক্রিয়াতে উপস্থিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম বলেন, “ভাঙ্গরবাসীর স্বার্থেই এলাকার উন্নয়নে জোয়ার আনতে এই রদবদল করা হয়েছে। উপপ্রধান নিজে থেকেই সরে গেলেন।” তবে উপপ্রধানের পদে এই রদবদল হলেও প্রধান পদে কোনো বদল হয়নি। সেখানে যেভাবে এতদিন অপর্না দাস দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন, তিনিই সেই দায়িত্ব সামলাবেন বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে মোটের ওপর উপপ্রধান পদে বেবি বেগম বসার পর তার থেকে বেশি তার স্বামী গোটা কাজ দেখভাল করতেন এবং তিনি উপপ্রধানের চেয়ারে বসেও ঠিকমত সময় দিতেন না বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠেছিল। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার তাকে সরিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিনের সদস্য শামসুল আলমকে সেই দায়িত্বে বসানো হলো। যার ফলে ভাঙ্গরের রাজনৈতিক মানচিত্রে বড়সড় পরিবর্তন এলো বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।