প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বেশ কিছু জেলা নিয়ে মাঝেমধ্যেই উদ্বিগ্ন প্রকাশ করতে দেখা যায় বিরোধী নেতাদের। মালদহ থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদের মত বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা সুরক্ষিত নয় এবং সেই জায়গা জেহাদিদের হাতে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা। তবে এবার সেই মুর্শিদাবাদে আবার যে ঘটনা ঘটলো, তাতে রীতিমত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে বিরোধীদের মুখে পড়তে শুরু করেছে পুলিশের ভূমিকা। বিরোধীদের দাবি, এখানেই কি শেষ! নাকি আরও এরকম অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে জেলা জুড়ে? কিন্তু কি ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, বুধবার একটি বিশেষ সূত্রে ডোমকল থানার পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা নিয়ে খবর আসে। আর তারপরেই পুলিশ এবং এসওজির পক্ষ থেকে যৌথভাবে ডোমকলের গড়াইমারি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। পাইপ গান থেকে শুরু করে ১২ পিস বন্ধু, কার্তুজ, সহ বিস্ফোরক তৈরীর একাধিক সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রায় ৪০ হাজার টাকার মত জাল নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও সিরাজ মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

আর এখানেই সকলের আশঙ্কা যে, এতদিন তো মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এবার একেবারে একটি বাড়িতে যেভাবে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গেল এবং সেখান থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হলো, তাতে এই জেলার নিরাপত্তা কোথায়? আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচন। তাহলে কি তার আগে পরিকল্পনামাফিক এই ধরনের অস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল? বিরোধীদের বক্তব্য, প্রশাসনের কাছে এক্ষেত্রে না হলে খবর ছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তো এই রাজ্যের প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বোমা, গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় নিরীহ মানুষদের। তাহলে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে আরও অনেক জায়গায় যে এইরকম অবৈধ অস্ত্রের কারখানা নেই, তার নিশ্চয়তা কি দিতে পারবে প্রশাসন? যেভাবে মুর্শিদাবাদ জেলা জেহাদিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে, তাতে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জেলাকে সঠিক পথে আনতে গেলে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ দৃষ্টি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।