প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপির মধ্যে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন যে, পরবর্তী সভাপতি কে হবেন? ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ রাজ্যের সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এখন সর্বভারতীয় স্তরে কে দায়িত্ব নেবেন গেরুয়া শিবিরের, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। বেশ কিছু নাম নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কিছুই চূড়ান্ত হয়নি বলেই খবর। কেননা বর্তমানে যিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আছেন, সেই জেপি নাড্ডা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ফলে এক ব্যক্তি দুই পদে যে থাকতে পারবেন না, এটা নিশ্চিত। তাই পরবর্তীতে কাকে দায়িত্বে আনা হবে, কারা এই পদে বসার জন্য উপযুক্ত, তা নিয়ে চলে এলো বড় আপডেট।

 

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে কারা কারা বসতে পারেন, তার মধ্যে তিনজনের নাম ঘিরে সবথেকে বেশি চর্চা চলছে। যার মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। কিন্তু এই তিন ব্যক্তিও তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! তাহলে এরা কি করে একসাথে দুটো দায়িত্ব সামলাবেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবটাই জল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। মূলত, সংগঠনে কার কেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে, জাতিগত সমীকরণ এবং আঞ্চলিক প্রতিনিধির ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে গেরুয়া শিবির।

 

তবে যে তিন ব্যক্তির দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে সব থেকে বেশি জল্পনা চলছে, তারা তিনজনেই সাংগঠনিক দিক থেকে অত্যন্ত অভিজ্ঞ বলেই পরিচিত। শুধু তাই নয়, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফলে তার সভাপতি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সেই শিবরাজ সিং চৌহানের প্রতিও যথেষ্ট ভরসা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের ওপর তলার। অন্যদিকে এক সময় হরিয়ানার যিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই মনোহরলাল খট্টরও প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত অভিজ্ঞ বলেই পরিচিত। সংগঠনের মধ্যে ব্যালেন্স কি করে করতে হয়, তা নিয়েও তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে তার মত ব্যক্তিকেও জাতীয় স্তরে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে চর্চা চলছে।

 

তবে জাতীয় স্তরে এই সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার আগে রাজ্যস্তরে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও পর্যন্ত বাকি রয়েছে। তাই সেখানে বিজেপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেই জাতীয় স্তরে সভাপতি নির্বাচনের দিকে এগোবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর বিজেপির এই জাতীয় স্তরে সভাপতি নির্বাচন কার হাতে ব্যাটন যাচ্ছে, তার দিকে বিরোধী দলের কিন্তু সুতীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। কারণ সামনেই ২০২৬ সালে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচন, যার হাত ধরে হবে, তিনিই এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পাবেন। ফলে কোন ব্যক্তির ঘাড়ে দায়িত্ব যাচ্ছে, তিনি কতটা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এবং কতটা তার রনকৌশল রয়েছে, তা অবশ্যই বিরোধীদের কিছুটা হলেও ভাবাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি হিসেবে যে নামগুলো চর্চায় আছে, তারা দায়িত্ব পায়, নাকি নতুন নাম আসে, নাকি জেপি নাড্ডাই আবার দায়িত্বে বসেন, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।