এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাজেট বিতর্ক দূরে ঠেলে মহাত্মার দেখানো পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন দাবী প্রধানমন্ত্রীর

বাজেট বিতর্ক দূরে ঠেলে মহাত্মার দেখানো পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন দাবী প্রধানমন্ত্রীর

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ইতিমধ্যে সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছে। আর তারই মাঝে আগুনে ঘি দিলেন গত শনিবার নির্মলা সীতারামন তাঁর দ্বিতীয় দফার মোদি সরকারের প্রথম বাজেটে। শনিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেট ভাষণ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিরোধীরা। বাজেট নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস, কিন্তু বাজেট নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিজেপি যে যথেষ্ট উৎফুল্ল সে বক্তব্য ধরা পড়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়।

বৃহস্পতিবার বাজেটের পর দ্বিতীয়বার লোকসভায় বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নরেন্দ্র মোদী লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আপনারা কথায় কথায় মহাত্মা গান্ধীর নাম নেন। কিন্তু আমরা জীবনে তাঁকে অনুসরণ করি।’ এদিন নরেন্দ্র মোদি সবার সামনে বিজেপি সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি শুরুতেই বলেন, ‘মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন, নতুন ভারত কেমন হওয়া উচিত। একুশ শতকের তৃতীয় দশকের শুরুতেই তিনি আমাদের সামনে একটি রোডম্যাপ দিয়েছেন। তাতে দেখানো আছে, আগামী দিনে কোন পথে যাবে আমাদের দেশ।’

এর পরেই বিজেপির লোকসভার নির্বাচন জিতে দ্বিতীয়বার ভারতের মসনদ দখল করার পর কেন্দ্রীয় সরকার দেশের জন্য কি কি কাজ করেছেন তার খতিয়ান দিতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। সাথে কংগ্রেস সরকারকে হটিয়ে দেশের মসনদ দখল করার কি কি সুফল হয়েছে, সে ব্যাখ্যাও দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের মানুষ শুধু সরকার বদলায়নি। তারা চেয়েছে, সরকারের কাজের পদ্ধতি যেন বদলে যায়।’ তিন তালাক নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘আমার সরকার যদি কংগ্রেসের ধাঁচে চলত, তাহলে সংবিধানের ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হত না। মুসলিম মহিলারা এখনও তিন তালাকের জন্য বিপদে পড়তেন।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাম জন্মভূমি বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আগের মতো কাজ করলে রামজন্মভূমি ইস্যুরও মীমাংসা হত না। কর্তারপুর করিডোর তৈরি হত না। ভারত-বাংলাদেশ জমি চুক্তিও হত না।’ এদিন প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের কাজ করে চলেছে সংবেদনশীলতার সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’কবে সমস্যা সমাধান হবে, তার জন্য ভারত আর অপেক্ষা করতে পারে না। সেজন্যই আমার সরকার দ্রুত কাজ করছে।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এতদিন সবাই বলত, উত্তর-পূর্ব ভারত দিল্লি থেকে অনেক দূরে। সেখানে উন্নয়ন করা মুশকিল। কিন্তু আমার আমলে সেখানে নানা ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে।’

বিরোধীদের দাবি, দেশের সবথেকে খারাপ অবস্থা কৃষকদের। ইতিমধ্যে বহু কৃষক ঋণ জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি তাঁদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের খারাপ অবস্থার কথা অস্বীকার করে এদিন বললেন, ‘ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর দাবি উঠেছিল বহুদিন আগে। আমরা সেই দাবি পূরণ করেছি। আমরা শস্যবিমা করেছি। জলসেচের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছি।’ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অর্থনৈতিক মন্দা নিয়েও বক্তব্য রেখেছেন। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে অর্থনীতির মন্দাকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। যার ফলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আরও বিনিয়োগ। উন্নততর পরিকাঠামো। চাকরির সুযোগ যথাসম্ভব বৃদ্ধি।’

তবে এবারের বাজেট নিয়ে প্রত্যেকটি বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নীকরণ নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সামনে আসছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগেই গুরুতর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লিকে কোনরকম গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কাজের খতিয়ান দিলেও সেই কাজ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সে কথা অস্বীকার করা যায় না। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর আছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!