প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। যার ফলে যারা যোগ্য, তারা রাস্তায় বসে রয়েছেন আন্দোলনে। সম্প্রতি তারা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে পরবর্তীতে তারা কি পদক্ষেপ নিতে পারেন, সেই সম্পর্কে পরামর্শ নিয়েছেন। যদিও বা বিকাশবাবু পরিষ্কার ভাষায় জ্বালিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলন করলেও তারা চাকরি ফিরে পাবেন না।

এক্ষেত্রে তাদের আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে। এমনকি সরকার রিভিউ পিটিশন করলেও লাভের লাভ কিছু হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার চাকরি হারারা এমন এক পদক্ষেপ নিলেন, যার ফলে রীতিমত চটে লাল হয়ে যাবেন এই রাজ্যের সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়‌। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিরোধীরা। কিন্তু কি সেই পদক্ষেপ?

প্রসঙ্গত, গতকাল নিজেদের যন্ত্রণার বিষয় নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলীর শরণাপন্ন হন চাকরিহারা ব্যক্তিরা। যেখানে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বিষয়টি আলাদা করে কি করে তারা চাকরি পেতে পারেন, সেই সম্পর্কে পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রাক্তন বিচারপতির কাছে। কিন্তু তাদের ঠিক কি পরামর্শ দিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ? আদৌ কি হবে এই সমস্যার সমাধান?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলি বলেন, “সবটাই সুপ্রিমকোর্টের হাতে। শীর্ষ আদালত মনে করলে, রিভিউ করবে, আবার নাও করতে পারে। তবে যোগ্য চাকরি হারাদের বুঝিয়ে বলতে হবে যে, তাদের কোনো দোষ নেই। তাহলেই সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টা ভাবতে পারেন।” আর প্রথমে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং তারপর অভিজিৎ গাঙ্গুলীর কাছে যেভাবে চাকরি হারারা আইনি পরামর্শ নিতে যাচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহে এই রাজ্যের শাসক এবং সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রবল গাত্রদাহের কারণ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

যার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হওয়া নিয়ে নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি এবং কখনও নাম করে আবার কখনও বা পরোক্ষে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই দুই জনই চাকরি কেড়ে নেওয়ার মূল পরিকল্পনা করেছেন।

কিন্তু বাস্তবটা যে সম্পূর্ণ আলাদা, এই সরকারের দুর্নীতির কারণেই যে চাকরি গিয়েছে এবং তারা দুর্নীতি করেছে জন্যেই যে আজকে যোগ্য এবং অযোগ্যের তালিকা দিতে পারছে না রাজ্য, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর চাকরিহারা ব্যক্তিরা যখন সেই অভিজিৎ গাঙ্গুলি এবং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের কাছে পরামর্শ নিতে যাচ্ছেন, তখন নিঃসন্দেহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাদের ওপর ক্ষেপে যাবেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।