প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ আইনের পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রতিবাদ হয়েছে, তা কার্যত ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল‌। যার ফলে এখন কড়া অ্যাকশন নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দপ্তরের অধীনে থাকা তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ইতিমধ্যেই তারা দুজনকে তলব করেছে। আর এবার এমন এক পদক্ষেপ গ্রহণ করলো সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যার ফলে ওয়াক অফ আন্দোলন যারা সংগঠিত করেছিল, সেই সংগঠনের একজন সদস্যকেই পাঠানো হলো নোটিশ।

জানা গিয়েছে, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল ভারতীয় ওয়াকফ সুরক্ষা সমিতি। আর সেই সমিতিরই অন্যতম সদস্য আবদুল জব্বারকে এনআইএর পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কি কারনে এই নোটিশ? এর পেছনে কি ওয়াকফ আন্দোলনের কারণ রয়েছে, নাকি অন্য কোন কারণ? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, ২০১৪ সালে ঘটেছিল খাগড়াগড়ের মত ভয়ংকর ঘটনা। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এই আব্দুল জব্বারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে বেশ কয়েকটি ধারা রয়েছে সেই নোটিশে।

এদিন এই প্রসঙ্গে আব্দুল জব্বার বলেন, “আমি আগেই আশঙ্কা করেছিলাম যে, আমাকেও হয়ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নোটিশ দেবে। সেই আশঙ্কা অবশেষে শনিবার বিকেলে সত্যি হলো। সাগরপাড়া থানায় ডেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নোটিশ ধারানো হলো। বর্তমানে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে যেভাবে আন্দোলন করা হচ্ছে, তার জন্যই হয়ত এইভাবে আন্দোলনকারীদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। আমি তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব এবং ২৭ মে সশরীরে গিয়ে হাজিরা দেব।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াকফ আন্দোলনের নামে যা হয়েছে, তা চূড়ান্ত অসভ্যতা হয়েছে। যেভাবে দেশের আইনকে ভাঙ্গার কথা বলে কিছু মানুষ ভাঙচুর করেছেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন, তা সত্যিই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার এনআইএ যদি সেই ঘটনার বদলা নিতেই পুরনো মামলা ঘেঁটে এই ওয়াকফের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক আন্দোলনে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের টাইট দিতে শুরু করে, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, আগামী দিনে বাংলার যারা মাতব্বর, যারা এতদিন মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, ক্ষমতায় বসে সর্বোচ্চ গ্রাস করেছেন এবং সেই সমস্ত মামলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে রয়েছে, সেই সমস্ত ক্ষেত্রেই কিন্তু এবার জোরদার ট্রিটমেন্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। অন্তত এনআইএর এবারের যে পদক্ষেপ, তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বাংলা নিয়ে এবার অত্যন্ত কড়া কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতিবিধি দেখে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।