প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে অভিযোগ করছে তৃণমূল, ঠিক তখনই ভোটার তালিকায় ঘুরিয়ে বাংলাদেশিদের নাম তোলার হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। আর এবার বিজেপির সেই অভিযোগই কি স্বীকার করে নিলেন স্বয়ং তৃণমূল বিধায়ক? কাকদ্বীপে যে ঘটনা ঘটেছে এবং তারপর তৃণমূল বিধায়ক যে মন্তব্য করেছেন, তাতে রীতিমত বেকায়দায় ঘাসফুল শিবির। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ করা মমতার দল এবার নিজের বিধায়কের মন্তব্যে কি বলবেন, তা আর ভেবে পাচ্ছেন না।

জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা, যার মধ্যে রয়েছে রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ এবং প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই সমস্ত এলাকা থেকেই ভয়ংকর তথ্য উঠে আসছে। এখানে ভোটার তালিকায় যেভাবে নাম বৃদ্ধি করার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও। যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। শুধু তাই নয়, ভোটার তালিকায় নাম ওঠার পর কাকদ্বীপের তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার অনেকেই দাবি করেছেন, তৃণমূলকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পর তারা এই এলাকার ভোটার হয়েছেন।

এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “কাকদ্বীপ এসডিও, বিডিও অফিসের কর্মীরা লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই বেআইনি কাজ করে গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এরা এখানে আসে। আর কিছু দালাল চক্র, আর কাকদ্বীপের এসডিও, বিডিও অফিসের লোকজন এই অনিয়ম করেছে। তাদের প্রশাসন খুঁজে বের করুক। এখানে লক্ষ লক্ষ টাকার গল্প। অর্থের বিনিময়ে এই কার্ড বানিয়েছে।”

আর বিধায়কের এই মারাত্মক মন্তব্যের পরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাহলে তো স্পষ্ট হয়ে গেল যে, স্থানীয় প্রশাসনই এই সমস্ত কাজ করছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন তো বিজেপির কথায় চলে না। বিজেপিকে তো মিথ্যে মামলা দিতেই প্রশাসন ব্যস্ত। সেক্ষেত্রে বিধায়ক এত বড় কথা বলছেন ঠিকই, কিন্তু তৃণমূলের কোনো বড় নেতার হাত এর পেছনে নেই তো? স্বয়ং বিধায়ক যে কথা বললেন, তাতে তো বিজেপির অভিযোগ যেমন সত্যি হচ্ছে, ঠিক তেমনই দলীয় বিধায়কের মন্তব্যে একেবারে তৃণমূলের হাঁটে হাড়ি ভাঙ্গা পড়ে গেল বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।