প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি, দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার। প্রত্যেকেরই অভিযোগ একটাই, ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার তোলা হচ্ছে। তবে বিজেপির অভিযোগ, অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে তাদের নাম তুলিয়ে সুকৌশলে হিন্দুদের নাম সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। আর এবার বিজেপির কি সেই অভিযোগই সত্যি হতে শুরু করলো? ইতিমধ্যেই যে মারাত্মক তথ্য সামনে এসেছে, তাতে বিজেপির তরফে তৃণমূলের দিকে অভিযোগ উঠতেই পাল্টা নিজেদের গা থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া শাসক শিবির।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের সিন্দ্রানী পঞ্চায়েতের নলদুগারি নীচুপাড়ার ভোটার লিস্টে দেখা গিয়েছে আজব বিষয়। যেখানে বাংলাদেশের যশোর জেলার বেনাপোলে ভোট দেওয়া সোহারব তরফদার এবং তার সহধর্মিণী রুপা তরফদারের নাম রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই তথ্য সামনে এনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিজেপি। তাদের দাবি, এভাবেই বাংলাদেশীদের এই রাজ্যের ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে অবৈধ উপায়ে ভোটে জেতে তৃণমূল।
কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন, কিভাবে বাংলাদেশের দুইজন বাসিন্দা বাংলার ভোটার তালিকায় নাম তুললেন? এর পেছনে কোন চক্র রয়েছে? এদিন এই ব্যাপারে যাদের নাম ভোটার তালিকায় উঠেছে, সেই ব্যাক্তির বউমা নাজমুর তরফদার বলেন, “আমার শ্বশুর, শাশুড়ি দুজনেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। পাসপোর্টে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে অবৈধভাবে ভোট বানিয়েছেন। তারা এখনও বাংলাদেশ থাকে।”
আর এইরকম তথ্য সামনে আসার পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিজেপি। তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, এর পেছনে তৃণমূলের প্রশ্রয় রয়েছে। যদিও বা বিজেপির তোলা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয়েছে ভুয়ো ভোটার ধরার কাজ। বিজেপি ফায়দা তোলার জন্যই এই সমস্ত অভিযোগ করছে।
তবে তৃণমূল এখন যতই সাফাই দিক না কেন, তাদের এই সমস্ত যুক্তি মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, রাজ্যের সমস্ত জায়গাতেই রয়েছে তৃণমূল। তারাই তো ক্ষমতায়। তাহলে ভোটার তালিকায় এত বড় কারচুপি হয় কি করে? নিশ্চয়ই নিজেদের সুবিধা করতেই পেছনের দরজা দিয়ে এই অসৎ উপায় অবলম্বন করে এখন বিজেপির হাতে ধরা পড়তেই নাটক শুরু করেছে তৃণমূল। তবে তাদের এই নাটক মানুষ বিশ্বাস করবে না, এতদিন যে এভাবেই কারচুপি করে ভোটে জিতেছে তৃণমূল, তা আবারও দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।