প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছরের নভেম্বর মাসেই সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে তিনি যে রায় দিয়েছিলেন তা নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কিন্তু এই সমস্ত কিছুর পরোয়া করেননি চন্দ্রচূড় সাহেব। তবে এবার অবসর নেওয়ার পর আরও বড় দায়িত্ব পেলেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। এবার তিনি যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন, তাতে ভারত তো বটেই আন্তর্জাতিক স্তরেও যথেষ্ট সুনামযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।। কিন্তু কি সেই দায়িত্ব?

 

জানা গিয়েছে, জার্মানির শক্তি উৎপাদনকারী সংস্থা এবং রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা স্থাপন হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যে নিয়োগ কর্তৃপক্ষের পদ রয়েছে, সেখানেই দায়িত্বে বসছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। যে পদে তিনি বসতে চলেছেন, সেই পদের অনেক কার্যকারিতা রয়েছে। মূলত, যে সংস্থা বিনিয়োগ করে এবং যে দেশের মধ্যে বিনিয়োগ করা হয়, তাদের মধ্যে যদি আইনি জটিলতা দেখা দেয়, তাহলেই তা সমাধান করার চেষ্টা করে পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশন। আর এই পার্মানেন্ট কোর্ট অফ আরবিট্রেশননের অধীনেই থাকা অ্যাপয়েনটিং অথরিটির পদেই বসতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। এতদিন এখানে এডুয়ার্ডো সিকুইরোজ নামে এক ব্যক্তি দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করার পরেই এবার সেখানে দায়িত্বে বসতে চলেছেন ভারতের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিঃসন্দেহে এটা ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। কেননা ভারতের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির এইভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি দায়িত্ব পাওয়া গর্বিত করবে গোটা দেশকে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেভাবে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামেই শীলমোহর পড়লো, তাতে আনন্দিত ভারত। অনেকে এটাও বলছেন যে, এই পদে বসতে গেলে আইন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী। সেদিক থেকে অন্যান্যদের টপকে যেহেতু ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সাহেব এই দায়িত্ব পেয়েছেন, সেহেতু বোঝাই যাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক স্তরে এই আইন নিয়ে তিনি কতটা অভিজ্ঞ। আর সেই কারণেই তার মত ব্যক্তিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।