প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিভিক পুলিশ নামক একটি চাকরি চালু করেছিলেন। যার ফলে কিছু বেকার যুবকরা সেই সিভিক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ হন। তবে আদৌ তারা পুলিশ, নাকি তৃণমূলের লেঠেলে বাহিনী, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। আর এবার সেই সিভিক পুলিশের যে বাড়াবাড়ি তা কোন পর্যায়ে গিয়েছে, তা এক ভিডিওর মধ্যে দিয়েই প্রকাশ হয়ে গেল। যার ফলে গোটা রাজ্যজুড়ে ছিঃ ছিক্কার পড়ে গিয়েছে।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, রানীগঞ্জে এক ট্রাক চালককে কার্যত মারতে উদ্যত হচ্ছেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। মূলত, কথাবার্তা শুনে যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে সেই ট্রাক চালক পুলিশকে প্রথমে টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারপর সিভিক তোলাবাজি করতে আসেন। এমনকি তাকে টাকা দেওয়া হবে না বলে প্রতিবাদ জানালে সেই ট্রাক চালকের ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেন সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ভিডিও করা হচ্ছে দেখে তিনি রীতিমত নিজের ড্রেস খুলে সেই ট্রাক চালককে মারার হুমকি দেন। আর সেই ভিডিও ঘিরেই তোলপাড় গোটা রাজ্য। যদিও বা সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু বাংলা।

তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমত সোচ্চার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীরা। তারা বলছেন, সিভিক পুলিশের এ কোন রূপ? এরা নাকি মানুষকে নিরাপত্তা দেবে! তোলার টাকা এতই প্রয়োজন যে, সামান্য সিভিকের ড্রেসটুকু খুলে ফেলে ট্রাক চালককে মারতে হবে, এমন পর্যায় এসে গেল রাজ্যে? অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলছেন, ঝাড় যেমন, বাঁশ তো তেমনই হবে। রাজ্যে তো একজনের অনুপ্রেরণাতেই সবকিছু চলছে। হয়ত তার অনুপ্রেরণাতেই তার বাহিনী এবার বিদায়ের ঘন্টা বাজার আগে সাধারণ মানুষের উপর এই করুণ অত্যাচারের নতুন স্ক্রিপ্ট রচনা করতে চাইছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।