প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় আছে, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়।” আর এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের সিভিক ভলেন্টিয়াররা এখন এমন সব মাতব্বরি শুরু করেছেন যে, তারা যেন পুলিশ অফিসারদের থেকেও বড় হয়ে গিয়েছেন। কিছুদিন আগেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের তোলাবাজির কুকীর্তি সামনে এসেছে। আর এবার আরও এক সিভিক ভলেন্টিয়ার পুলিশের উর্দি চুরি করে সেই পোশাকে তোলাবাজি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কসবায় পুলিশের উর্দি চুরি করে নীরজ সিং নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার তোলাবাজি করতে শুরু করেন। আর তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা গোটা ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পরবর্তীতে সেই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এত বড় সাহস পাচ্ছেন কোথা থেকে? পুলিশের পোলিং চুরি করে তারপর বহাল তবিয়তে তোলাবাজি করার মত ঔদ্ধত্য আসছে কোথা থেকে এই সামান্য সিভিক ভলেন্টিয়ারের?
বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের থেকেও এখন নিজেদের হর্তাকর্তা বিধাতা মনে করেন এই সিভিক ভলেন্টিয়াররা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয়ে তারাই এখন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন। তাদের দিয়েই সব কাজ করাচ্ছে এই রাজ্যের প্রশাসন। যার ফলে সেই সিভিক ভলেন্টিয়াররা এখন নিজেদের এমন মাতব্বর ভাবতে শুরু করেছেন যে, তারা পুলিশকেও মানছেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের এই কুকীর্তি সামনে আসতেই নিঃসন্দেহে লজ্জায় পড়ে গিয়েছে নবান্ন। একজন সামান্য সিভিক হয়ে পুলিশ অফিসারের পোশাক চুরি করে তারপর যেভাবে তোলাবাজি করছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, তার পেছনে বড় কোনো আশীর্বাদের হাত রয়েছে। তা না হলে তিনি এত বড় কুকীর্তি ঘটাতে পারতেন না! স্বাভাবিকভাবেই সিভিক ভলেন্টিয়ারের এই কীর্তিতে গোটা ঘটনায় এখন রীতিমত ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছে নবান্ন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।