প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পাকিস্তানকে জবাব দিতে গিয়ে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে ভারত যে সাফল্য পেয়েছে, তাতে গর্বিত গোটা দেশ। দল এবং রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সকলেই পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার জন্য অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু এবার নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উত্তরবঙ্গের মাটিতে পা রাখার আগেই সেই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যে আক্রমণ রাজ্যের মন্ত্রী করলেন, তাতে তার রুচিবোধ নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে এক দিকে দলীয় জনসভা এবং অন্যদিকে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথা গোটা দেশে তুলে ধরছেন তিনি, সেখানে রাজ্যেও এসে উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে এই ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানানোর পাশাপাশি বেশ কিছু বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যেই এবার সেই অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য উদয়ন গুহ যে সমস্ত কথা বললেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, একজন মন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? যেখানে গোটা দেশ অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে গর্বিত, সেখানে প্রধানমন্ত্রী সেই সাফল্যের বিষয় বলতে আসছেন, আর একজন জনপ্রতিনিধি তথা রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে এমন মন্তব্য করে দিলেন উদয়ন গুহ? কিন্তু ঠিক কি বলেছেন তিনি?
জানা গিয়েছে, এদিন প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে আক্রমণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। যেখানে তিনি বলেন, “আগে কেউ চায়ের ব্যবসা করতেন, এখন সিঁদুরের ব্যবসা করছেন। কেউ আগে গরম চা বিক্রি করতেন, এখন গরম সিঁদুর তাদের রক্তে বয়ে যাচ্ছে। আদতে মানুষের মনে ধর্মীয় বিষ ঢোকানোর চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দিয়ে, ধর্মীয় বিষ ঢুকিয়ে দিয়ে মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করবেন না।” আর রাজ্যের একজন মন্ত্রী, যখন পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার জন্য অপারেশন সিঁদুর সাফল্য পেয়েছে, তখন সেই অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী যখন প্রশাসনিক জনসভা করবেন, তখন তাকে আক্রমণ করে তো তিনি দেশবাসীকেই আক্রমণ করলেন! এমনকি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিলেন অস্ত্র। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।
এদিন উদয়ন গুহর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “উদয়নবাবু তৃণমূল কংগ্রেসের রুচির পরিচয় দিয়েছেন। দল হিসেবে তিনি ঠিকই বলেছেন, বেচতে আসছেন। আসলে উদয়নবাবুর দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই রাজ্যটাকে বেচে দিয়েছেন।”