প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজনীতিতে কেউ আপন নয়। এবার নিজের বাবাকেও অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া নিয়ে আক্রমণ করে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী উদয়ন গুহ। বর্তমানে যোগ্য, অযোগ্য চাকরিহারাদের বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে রাজ্যে। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিগত বাম আমলের কথা তুলে ধরে নিজের বাবাকে পর্যন্ত ছাড়লেন না রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য রিভিউ পিটিশন করলেও, আবার নতুন করে নির্দেশ মানার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে তিনি যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিদের পথে বসাচ্ছেন বলে শুরু হয়েছে আন্দোলন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার দুর্নীতির বিষয় নিয়ে বাম আমলের কথা তুলে ধরে এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা উদয়ন গুহ নিজের বাবাকে পর্যন্ত আক্রমণ করতে ছাড়লেন না। বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি নিজের প্রয়াত পিতা কমল গুহ সম্পর্কেও বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী।

এদিন এই প্রসঙ্গে উদয়ন গুহ বলেন, “দলের স্বার্থে কমল গুহও দুর্নীতি করেছেন। ৫ টাকা নিলে দুর্নীতি নয়, আর ৫০ হাজার টাকা নিলে দুর্নীতি, এটা তো কখনো হতে পারে না। আমি এখন নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য বলব, বাবা যেটা করেছেন, ঠিক করেছেন, আর এখন অমুক যেটা করছেন, সেটা ভুল করছেন, এটা হতে পারে না। বাবাও তো অনেককে চাকরি করে দিয়েছিলেন। চাকরি করে দিয়েছিলেন মানে, বাবার সামনে তালিকা তৈরি হয়েছিল। বাবা সেটাকে এন্ডরোর্স করে দিয়েছিলেন। আমি বলছি, এটাও তো দুর্নীতির একটা অঙ্গ।”

আর উদয়ন গুহর এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতিতে দাসত্ব করতে গিয়ে বেমালুম নিজের বাবাকেও ভুলে গেছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। তৃণমূল নেত্রীর কাছে ভালো হতে হবে, তাই নিজের প্রয়াত পিতার সম্পর্কেও তার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে রীতিমতো হাটে হাড়ি ভেঙে ফেললেন উদয়ন গুহ। আসলে রাজনীতি বড় বালাই। এখন যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাকে ঢাকা দেওয়ার জন্য নিজের বাবাকে পর্যন্ত যেভাবে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী, তাতে স্পষ্ট এই রাজ্যে রাজনীতির শিষ্টাচার তলানিতে ঠেকেছে। পরিস্থিতি দেখে তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।