প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে যে রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশে ভর্তি, তা নতুন করে বলতে হবে না। বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ বাংলাদেশিদের খবর সামনে আসছে‌। আর বারুইপুরের একটি এলাকা থেকে প্রায় ৩৩০ জন রোহিঙ্গা যেভাবে পালিয়ে গেল, তাতে প্রশাসনের কাছে নেই কোনো খবর। যার ফলে আতঙ্কে শিউরে উঠছে গোটা বাংলার মানুষ। প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এই সমস্ত রোহিঙ্গারা গেল কোথায়? তারা কি বাংলাতেই কোনো জেলায় আশ্রয় নিয়েছে?

বলা বাহুল্য, বিগত ২০১৭ সাল থেকে বারুইপুরের হারদহ এলাকায় নিশ্চিন্তে বসবাস করছিলেন প্রায় ৩৩০ জন রোহিঙ্গা। যে এলাকা রোহিঙ্গাদের ভূমি হিসেবেও লোকমুখে প্রচলিত ছিল। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, রোহিঙ্গাদের জন্য ঘর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবস্থা পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, তাদের মধ্যে কেউ এখন সেখানে নেই। যার ফলেই আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে যে, তারা এখন গেল কোথায়?

তবে রোহিঙ্গাদের যিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন, সেই হোসেন গাজী বলেন, “এই রোহিঙ্গাদের শরণার্থী কার্ড ছিল। আমার এখানে বেআইনিভাবে ছিল বলা যাবে না। কারণ ওদের কাছে সরকার প্রদত্ত শরণার্থী কাটছিল। পরবর্তীতে আসাম, গুয়াহাটি পুশব্যাক করে, তখন ওরা রাতারাতি চলে যায়।”

আর এখানেই সব থেকে বড় প্রশ্ন যে, প্রশাসন তাহলে কি করছিল? তাহলে বিরোধীরা যে অভিযোগ করে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশ কারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে শুধুমাত্র ভোট ব্যাংকের, জন্য সেই কাজই কি প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল? কারণ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যা রোহিঙ্গাদের এলাকা হিসেবে কার্যত পরিচিত হয়ে উঠেছিল, সেখানে এত রোহিঙ্গা হঠাৎ করে পালিয়ে গেল কিভাবে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাজ্যের প্রশাসন দেখেও দেখে না। এত রোহিঙ্গা যেভাবে চলে গেল, তাতে এরা বাংলার কোনো জায়গায় আশ্রয় নিল কিনা, এটাও তো প্রশাসনের কাছে খবর নেই। যার ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন চরম অপদার্থ। আর তা না হলে তারা নিজেদের চোখের সামনে সবকিছু দেখা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কারও প্রশ্রয় ভোট ব্যাংকের জন্য এই সমস্ত বেআইনি কাজ করতে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাই অবিলম্বে বাংলার স্বার্থে, বাংলার জনতার স্বার্থে এই সমস্ত রোহিঙ্গাদের খুঁজে বের করার দায় এবং দায়িত্ব এই প্রশাসনকে নিতে হবে বলেই দাবি করছেন তারা।