প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সুপ্রিম কোর্টে ২০১৬ সালের এসএসসি পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন করলেও, গতকাল আবার মুখ্যমন্ত্রী আদালতের নির্দেশ মানার জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ঘোষণা করেছেন। ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কি বসতে পারবেন, যারা সুপ্রিম কোর্টে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, সেই সমস্ত ব্যক্তিরা? এই সমস্ত প্রশ্নের মধ্যেই এবার সেই অযোগ্যদের নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিলো কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী  নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ঘোষণা করতেই যারা চিহ্নিত অযোগ্য, তারা কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিল। আর সেখানেই বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের অবসরকালীন বেঞ্চের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় বড় বক্তব্য। আদালত এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে এবং রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, তাই এই ব্যাপারে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে। যার ফলে অযোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা রীতিমত বড়সড় ধাক্কা খেলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছেন চিহ্নিত অযোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা। যেখানে অবসরকালীন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের যেভাবে বোতন বন্ধ করা হয়েছে, তাতে আদালত হস্তক্ষেপ করুক বলে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে এই ব্যাপারে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্ট করবে না বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাকরি হারা অযোগ্য ব্যক্তিরা যে আর কোনোমতেই চাকরি ফেরত পাবেন না, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে‌। কিন্তু তারপরেও গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোষণা করেছেন, তাতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাতে তারা অংশ নিতে পারেন, তার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা। কিন্তু শীর্ষ আদালতের কথা তুলে ধরে এই মামলা হস্তক্ষেপ না করায় অযোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা চরম হতাশাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।