প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রথমে ঠিক ছিল পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন দেশে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে সমস্ত টিম যাবে, সেখানে রয়েছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। কিন্তু দলকে জিজ্ঞেস না করে কি করে এই নাম নেওয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সেখানে দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের টিমের সঙ্গে বিদেশে রয়েছেন। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাদে সকলেই অযোগ্য, আর সেই কারণেই হয়ত অন্য কারও নাম দেওয়া হয়নি বলে ভয়ংকর মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বলা বাহুল্য, অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানকে জবাব দিয়ে ভারত দেখিয়ে দিয়েছে নিজেদের শক্তি। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রথমে সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছিল ইউসুফ পাঠানকে। কিন্তু দলকে জিজ্ঞেস না করে কি করে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে শুনেই তার পরামর্শ মত সেখানে রাখা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ইতিমধ্যেই সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী। আর এবার আরও বড় মারাত্মক কথা বলে দিলেন তিনি। যার ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাদে তৃণমূলের যে সমস্ত নেতা রয়েছেন, তাদের ভূমিকা নিয়েই উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন।
এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “খোকাবাবুকে পাঠিয়ে খবরের কাগজে নাম তুলতে চেয়েছিল। খবরের কাগজে নাম-টাম বেরোবে। বাকি তার দলে তো কেউ যোগ্য ছিলেন না।” পাশাপাশি পহেওগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে প্রথমে কংগ্রেস অধিবেশন ডাকার কথা বললেও, তৃণমূল তাতে সমর্থন করে কিছু বলেনি বলেও ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন,”পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা প্রথমে কংগ্রেসই বলেছিল। সেই সময় কংগ্রেসের আহ্বানে সারা দেয়নি তৃণমূল। তাদের মনে হয়েছিল, এখন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা ঠিক নয়। অনেকদিন পর তাদের মনে
হয়েছে, তারা যে বিজেপিকে রক্ষা করতে চাইছে, সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে। তাই আবার লোক দেখানো বিশেষ অধিবেশন ডাকার নাটক করছে।”
তবে জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করলেও, অধীর চৌধুরীর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য কেন্দ্রীয় টিমে পাঠানোর সুপারিশ যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, তা নিয়ে মন্তব্য কিন্তু অত্যন্ত মারাত্মক। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদম গোপন সত্যি বলে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, তার বিকল্প হিসেবে তার পরিবারের কেউ উঠে আসুক। আর সেই কারণেই হয়ত আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য বেশি করে কেউ খবরে উঠে আসবে, বাংলার খবরের সারাদিন ধরে তার নাম দেখাবে, আর সেই কারণেই ইউসুফ পাঠানের বদলে নিজের ভাইপোকে সেখানে পাঠিয়ে প্রচারের আলোয় থাকার মরিয়া চেষ্টা শুরু হয়েছে বলেই মত গোটা রাজনৈতিক মহলের।