প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বুধবার হুগলির ডানকুনিতে কালীপুজোর বিসর্জনের সময় ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, পুজোর মিছিলে উচ্চস্বরে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। পুলিশ তা বন্ধ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেয় এবং বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের ওপর চড়াও হয় জনতা। শুরু হয় ইটবৃষ্টি, আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী।

এই ঘটনায় তিনজন মহিলা পুলিশ সহ মোট ১২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আজ শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ডানকুনির মোনবের বারোয়ারি কালীপুজোর বিসর্জন ঘিরে। পুজো কমিটির তরফে ডিজে বক্সের আয়োজন করা হয়েছিল। পুলিশ ডিজে বন্ধ করতে গেলে স্থানীয়রা প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে কার্যত জনতার হাতে আক্রান্ত হয় পুলিশ।

এই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এর আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী বিক্ষোভে যখন এক বিশেষ সম্প্রদায় কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছিল, তখন পুলিশ ছিল নির্বিকার। বোমা ছোড়া ও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ সেদিন নিষ্ক্রিয় ছিল। অথচ হিন্দুদের কোনো উৎসবে পুলিশের রোয়াব লক্ষ করা যায়। ফলে ভোটের মুখে এই ঘটনা কি রাজ্যের শাসক দলের কাছে বড় বার্তা বহন করছে, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।