প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে সমস্ত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি গিয়েছে, তারা এখন বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে বসে রয়েছেন। আর তাদের সেই আন্দোলন সহ্য হচ্ছে না তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের। সম্প্রতি সেই যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বলিদান বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার তার মুখে কার্যত ঝামা ঘষে দিলেন সেই চাকরিহারা ব্যক্তিরা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চাকরিহারাদের এই আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “হুলিগাদের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়েছে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল ভিজিল্যান্স কমিশন ও এসবিআইয়ের শাখা।” আর একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি তথা সাংসদ হয়ে কি করে তিনি যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে এই ধরনের রুচিহীন আক্রমণ করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আর এবার সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা জবাব দিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের দুর্নীতিকে সামনে এনে দিলেন যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা।
এদিন এই ব্যাপারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন চাকরিহারা ব্যক্তিরা। তারা বলেন, “রাজ্যের দুর্নীতির ফলে আমাদের চাকরি খোয়াতে হলো, এরপরও একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কিভাবে উনি শিক্ষক সমাজকে হুলিগান বলতে পারেন?” একাংশ বলছেন, মুখের মত জবাব দিয়েছেন চাকরিহারা ব্যক্তিরা। শিক্ষক সমাজকে হুলিগান বলার ফলাফল কি হতে পারে, তা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরপরেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নেতা তথা জনপ্রতিনিধির মুখের বাণী খুব একটা রুচি সম্মত হবে না। কারণ এরা নেত্রীর কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য ব্যস্ত। আর সেই কারণেই আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও যা ইচ্ছে তাই বলে অপমান করেছেন। তবে কল্যানবাবুর মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে চাকরি হারারা যেভাবে রাজ্যের দুর্নীতির কারণেই তারা আন্দোলনে বসেছেন বলে জানিয়ে দিলেন, তাতে কিন্তু বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গেলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।