প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভোটব্যাংকের জন্য মুসলিমদের তোষন করেন। আর শুধুই যে তিনি ভোটব্যাংকের জন্যই মুসলিমদের ব্যবহার করছেন, তা সম্প্রতি একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ তৃণমূল বিরোধীদের। কেননা পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য যখন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়েছিল, তখন সেখানে রাখা হয়েছিল তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানকে। কিন্তু সংখ্যালঘু একজন সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তাকে সেখানে না পাঠিয়ে নিজের ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলে পাঠালেন, তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে যে চূড়ান্ত অপমান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই ব্যাপারেই সোচ্চার হলেন অধীর চৌধুরী।
বলা বাহুল্য, সম্প্রতি পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল গঠন করা হয়েছিল। যেখানে বিরোধীদের সাংসদরাও ছিলেন। আর সেখানেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাখা হয়েছিল ইউসুফ পাঠানকে। তবে দলকে জিজ্ঞেস না করে কেন কাউকে সেখানে রাখা হলো, তা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তার কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ইউসুফ পাঠানের বদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম দিয়েছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সংকীর্ণ মানসিকতা নিয়েই এবার উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “বহরমপুরে নির্বাচনে একজন খ্যাতনামা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হলো। যে কেউ যেখানে খুশি দাঁড়াতে পারে, আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু ভোটের সময় তাকে ব্যবহার করে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলে তাকে না পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তার ভাইপোকে পাঠিয়ে দিলেন। তাহলে মুসলমান সম্প্রদায়কে শুধুমাত্র ব্যবহার করে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের অপমান করছেন তিনি।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী ভোটের জন্যই যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করেন, তা বারবার করে অভিযোগ উঠেছে। আর পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাঠানো দলে ইউসুফ পাঠান থাকলেও, পরবর্তীতে যেভাবে সেখানে নিজের ভাইপোর নাম যুক্ত করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তাতেই প্রমাণ হয়ে গেল যে, তিনি শুধুমাত্র ভোটের স্বার্থেই মুসলিমদের ব্যবহার করছেন। আর অধীর চৌধুরী এই কথা বলার পর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম সম্প্রদায়ের চোখ যদি খুলে যায়, তাহলে হিন্দু ভোট তো এমনিতেই পাবে না তৃণমূল, তার মধ্যে এই মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটেও ফাটল ধরলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে ঘাসফুল বলেই মত সমগ্র রাজনৈতিক মহলের।