প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করে সরকার। কিন্তু কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার যদি নিজেদের মত করে পরিকল্পনা করে, তাহলে তা সনাতনী সংস্কৃতির মর্যাদা ভঙ্গ হয়। এক্ষেত্রে যে মন্দিরের নির্মাণের ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেই মন্দিরের যিনি ধর্ম গুরু রয়েছেন, তার সঙ্গে কথা বলেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তেমনটাই মনে করেন সনাতনী সমাজ। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে বাঁকে বিহারী করিডর প্রকল্প নিয়ে সরকারের যে উদ্যোগ, এবার তা নিয়েই চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শংকরাচার্য। শুধু তাই নয় দাপুটে অভিনেত্রী বলে পরিচিত হেমা মালিনিকেও কটাক্ষ করলেন তিনি।

বলা বাহুল্য, সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির পর উত্তরপ্রদেশ সরকারের যে প্রস্তাবিত বাঁকে বিহারী করিডর প্রকল্প, তাতে রাজ্যপাল সম্মতি দিয়েছেন। তবে এই বিষয় নিয়ে খুব একটা খুশি নন শংকরাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ। এদিন তিনি বলেন, “মন্দিরে কোনো নির্মাণ কার্য করতে হলে সবার আগে সেখানকার ধর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলা উচিত। কিন্তু সরকার নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েছে, মন্দিরে কাজ শুরু করতে চলেছে। এর আগেও বারানসীতে করিডরের নামে ধর্মীয় বিশ্বাস ভঙ্গ করা হয়েছে। মন্দিরের কাছেই রাজনীতিবিদদের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে এখন। এটা কি ঠিক?”

তবে এখানেই থেমে থাকেননি শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তে শ্বরানন্দ। এই বাঁকে বিহারী করিডর প্রকল্প নিয়ে রাজ্যপাল সম্মতি দিতেই যেভাবে তার প্রশংসা করেছেন দাপুটে অভিনেত্রী হেমা মালিনী, এবার সেই বিষয়েও তাকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। শংকরাচার্য বলেন, “হেমা মালিনী মুসলমান। বিয়ে করার জন্য তিনি ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। এই ব্যাপারে তার কিভাবে জ্ঞান হবে? তিনি ছোটবেলা থেকেই ছবিতে কাজ করেছেন। তার কথামত যদি আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ভঙ্গ করা হয়, তাহলে আমরা বুঝব, বৃন্দাবনের মানুষজন একজন অহিন্দু প্রতিনিধিকে বেছে নিয়ে ভুল করেছে।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাঁকে বিহারী করিডর প্রকল্প নিয়ে মোটেই খুশি নন শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেত্রী হেমা মালিনী এই প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ প্রদান করলে তাকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। যার ফলে গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।