প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভাইরাল অডিও ক্লিপকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। কেন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না, তা নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন করে শাসকদলের চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার কারণে থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূলের ছাত্র নেতা বিক্রমজিৎ সাউকে। আর অনুব্রত মণ্ডলকে দু-দুবার নোটিশ দেওয়ার পরেও তিনি হাজিরা না দিলেও, সেই সাসপেন্ডেড তৃণমূলের ছাত্রনেতা অবশেষে সাত সকালে হাজিরা দিলেন থানায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৬ টায় সোজা সিউড়ি থানায় চলে আসেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া নেতা বিক্রমজিৎ সাউ। প্রায় দেড় ঘন্টা তাকে পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেই খবর। প্রথম প্রশ্ন যে, এত সাত সকালে কেন হাজিরা দিলেন সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূলের এই ছাত্রনেতা? আসলে সেই সময় প্রেস, মিডিয়া কেউ থাকবে না। তাই সকলের আড়ালে কোনোমতে একটা হাজিরা দেওয়ার জন্যই তার এই সময়কে বেছে নেওয়া বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠছে যে, কেন এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল হাজিরা দিচ্ছেন না? আর কেনই বা পুলিশ তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছে না?
বিরোধীদের দাবি, এই সমস্ত চুনোপুটি ছাত্র নেতাকেই পুলিশে জেরা করার জন্য ডাকতে পারবে। কিন্তু যে অনুব্রত মণ্ডল প্রধান কান্ডারী অপরাধের, তাকে এখনি পর্যন্ত ঘাড় ধরে থানায় নিয়ে আসতে পারলো না পুলিশ। আসলে এই বিক্রমজিৎ সাউয়ের মত চুনোপুটি ব্যক্তিকে জেরা করে গোটা বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়টিকে যাতে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়, তাকে যাতে বাঁচানো যায়, সেই জন্য অপমানিত হওয়ার পরেও পুলিশের এই মরিয়া চেষ্টা। আইন সবার জন্য সমান। তাই অবিলম্বে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার জন্য তলব করা উচিত এবং তাকে জেলের ভেতরে ঢোকানো উচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনা নিয়ে বিরক্ত তৃনমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের একটা অংশ চাইছে যে, দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে অবিলম্বে অনুব্রত মণ্ডলকে থানায় হাজিরা দিতে বলা উচিত এবং প্রয়োজন হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাহলেই মানুষের মনে প্রশাসন এবং দল সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি হবে। কিন্তু যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই অনুব্রত মণ্ডল কেন কিছু বুঝতে পারছেন না? কেন তিনি এখনও পর্যন্ত থানায় যাচ্ছেন না, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূলের ছাত্রনেতা থানায় যাওয়ার পর এবার যার জন্য এত গন্ডগোল, সেই অনুব্রত মণ্ডল কি থানায় হাজিরা দেবেন, সেদিকেই নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের।