প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। তৃণমূল বেশ খুশিই ছিল, তাকে দলে নিয়ে। উত্তরবঙ্গের সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করেছিল শাসকদল। কিন্তু তৃণমূলে যোগদান করার পরেই সেই জন বার্লা এমন কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যার ফলে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি, দুই দলেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। দুই দলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, জন বার্লার এরকম পদক্ষেপ কোন দলের ক্ষেত্রে ধাক্কা আসতে চলেছে?

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সোমবার বিজেপির মেটেলি সমতল মণ্ডলের সহ-সভাপতি মেহেবুব আলমের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া জন বার্লা। যেখানে দীর্ঘক্ষন তাদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কি কারণে বিজেপি ত্যাগ করার পর বিজেপিরই একজন পাদাদিকারীর বাড়িতে চলে গেলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা? তাহলে কি তিনি বিজেপির ঘর ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন, নাকি নিজে আবার বিজেপিতে যাওয়ার জন্য লাইন তৈরির চেষ্টা করছেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে জন বার্লা বলেন, “এটা শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাৎ। আমার হাত ধরেই উনি বিজেপিতে এসেছিলেন। দীর্ঘদিন একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। তাই সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি।” অন্যদিকে যার বাড়িতে জন বার্লা এসেছিলেন, সেই মেহেবুব আলম বলেন, “রাজনীতির কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। ওনার সঙ্গে একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই এসেছিলেন। আমার তৃণমূলে যাওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক নেতাদের ওপর কোনো ভরসা নেই। আজ যারা ডান দিকে, কাল তারা সূর্যের আলো উঠতে না উঠতেই যে বাঁদিকে চলে যাবেন না, তার কোনো গ্যারান্টি কেউ দিতে পারেন না। জন বার্লা তৃণমূলে গিয়েছেন ঠিক কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন তিনি আবার বিজেপি নেতার বাড়িতে তার সঙ্গে গিয়ে বৈঠক করলেন? এর থেকে দুটো বিষয় উঠে আসছে। হয় তিনি সেই বিজেপি নেতাকে তৃণমূলে আনার জন্য চেষ্টা করছেন, না হলে তিনি নিজেই তৃণমূলে থাকতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন না জন্যেই নতুন করে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন বার্লার এই পদক্ষেপ এবং গতিবিধি চিন্তায় রাখছে তার নতুন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। পাশাপাশি গোটা বিষয়ে নজর রাখছে বিজেপিও।