প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ করার জন্য তৃণমূল উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মালদহের এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জগ উঠে আসতেই বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। যার ফলে রীতিমত অস্বস্তিতে সেই তৃণমূল নেত্রী।

জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলী খাতুন। ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশের নাগরিক বলে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন এক কংগ্রেস নেতা। যার ফলে তদন্তে সেই লাভলী খাতুনের বিরুদ্ধে উঠে আসে মারাত্মক অভিযোগ। যেখানে দেখতে পাওয়া যায় যে, তিনি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ভারতে এসেছিলেন। এমনকি তার বাবার নাম, পরিচয় নিয়েও তৈরি হয়েছে সন্দেহ। পরবর্তীতে মহকুমা শাসক সেই তৃণমূল নেত্রীকে বাংলাদেশী বলে তার পঞ্চায়েতের সদস্যপদ খারিজ করে দেয়। তবে এতকিছু করার পরেও কেন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি বলেন, “জেলা প্রশাসন আমাদের চিঠি পেয়ে তৎপর না হলে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দেব। তারপর কেন্দ্রীয় সরকার যা করার করবে।” অর্থাৎ এতদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূলের একটা অংশের যোগ রয়েছে এবং তারাই অনুপ্রবেশ করাচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল বিজেপির। আর এবার মালদহে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ থাকায় তার প্রধান পদ খারিজ হয়ে গেলেও কেন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেই ময়দানে নামতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় অবৈধ ভোটার এবং অনুপ্রবেশ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সোচ্চার বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই মালদহের এই তৃণমূল নেত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে যেভাবে বিজেপি চাপ দিতে শুরু করেছে, তাতে জেলা প্রশাসন যদি পদক্ষেপ না করে, তাহলে বড় বিপদ আসতে চলেছে প্রশাসনের জন্য। বিজেপির পক্ষ থেকে যদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগ জানানো হয় এবং অমিত শাহ যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে ঘুম উড়তে বাধ্য রাজ্য প্রশাসনের।