প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে যারা যোগ্য, তারা কোনো মতেই পরীক্ষায় বসবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে ৩১ মের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুযায়ী নোটিফিকেশন জারি করার নিয়ম রয়েছে, ফলে ৩০ মে সেই নোটিফিকেশন জারি করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে চাকরিহারাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চুড়ান্ত হতাশা। আর নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করার পরেই চাকরি হারাদের জীবন নিয়ে তিনি যেভাবে খেলা করছেন, যেভাবে ভয়ংকর প্ল্যান করছে এই রাজ্য সরকার, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

জানা গিয়েছে, এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে তিনি লিখেছেন, “আপনার নাকি প্ল্যান এ,বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষা সূচি ঘোষণা করলেন, তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ! যে যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন, তার কি গ্যারান্টি রয়েছে?”

পাশাপাশি নতুন করে এই চাকরির বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে তৃণমূল নেতারা আবার টাকা তুলবেন বলেও ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা যোগানোর আপনার একমাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময় কি যোগ্যদের তালিকা সাথে জমা দিয়েছেন? এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে, আপনার দলের নেতারা। কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একদম সঠিক জায়গায় আঘাত দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজী ইন্ডোরে অনেক বড় বড় গলায় চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পরেও সেই চাকরিহারাদের পরীক্ষায় বসার ব্যাপারে তিনি যে নির্দেশিকা দিলেন, তাতেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে যে, আদৌ কি এই সরকারের বিন্দুমাত্র সহমর্মিতা রয়েছে যোগ্য চাকরি হারাদের প্রতি?

আসলে আদালতের যে নির্দেশ রয়েছে, তার বাইরে বেরোনোর উপায় এই রাজ্য সরকারের নেই। লোক দেখানোর জন্য তারা হয়ত রিভিউ পিটিশন করেছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ যে রাজ্যকে মানতেই হবে, তা এই নোটিফিকেশনের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার। আর সেই কথাই উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ার পোষ্টের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম কেড়ে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।