প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যে দলদাস প্রশাসন কিভাবে তৃণমূলকে ভোটের কাজে সহযোগিতা করে, তা নতুন করে বলতে হবে না। গোটা রাজ্যবাসী সেটা জানে। বিধানসভা থেকে শুরু করে লোকসভার মত ভোটেও নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোট লুঠের কাজ করে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী বলে অভিযোগ। তবে ২৬ এর বিধানসভা ভোট অন্যভাবে করানোর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিজেপি‌। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একাধিক দাবি দাওয়া তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই মমতা প্রশাসনকে ঝটকা দিয়ে নির্বাচন কমিশন যদি এই মত কাজ করে তাহলে যে তৃণমূলের ভোটে মাতব্বরি করা শেষ হয়ে যাবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেল।

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই যারা বিএলও রয়েছেন, তাদের নিয়ে বড় দাবি করে বসেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “বিএলওদের ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ বিএলও পরিবর্তন করতে হবে। পার্মানেন্ট এমপ্লয়ি দিতে হবে। আমরা আগেও বলেছি এবং তাতে নির্বাচন কমিশন অ্যাকশন নিচ্ছে।”

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্যের প্রশাসনই তৃণমূলের ভোট লুটের সবথেকে বড় কারিগর। কাজেই প্রশাসনের মধ্যে যারা আছেন, তাদেরকে আগে পরিবর্তন না করলে কোনোভাবেই সুস্থ এবং অবাধ নির্বাচন বাংলায় সম্ভব নয়। আর সেই কারণেই আগে প্রশাসনের দলদাস তৃণমূলীদের বদল করে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। তাহলেই বাংলায় অবাধ নির্বাচন হবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এখন থেকেই ঠিক জায়গার ধরেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, এই রাজ্যের প্রশাসনে যারা রয়েছেন, তাদেরকে যদি পরিবর্তন না করা যায়, তাহলে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সম্ভব নয়‌। তাই সেই প্রশাসনের ভেতরে কারসাজি করা লোকেদের পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে শুভেন্দুবাবুর যাওয়া এবং বিএলওদের ক্ষেত্রে তিনি যে বক্তব্য রাখলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে যদি ঠিকমত শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি-দাওয়া রেখে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারেন, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত চাপের হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের ক্ষেত্রে। কারণ কমিশনের অ্যাকশন মূলক সিদ্ধান্তে প্রশাসনের মাতব্বরি কার্যত শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।