প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যারা ভাবছিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ঠিকমত তদন্ত করছে না, তাদের সঙ্গে কোথাও একটা সেটিং রয়েছে এই রাজ্যের, তারা অন্তত মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আজ যে ঘটনা ঘটে গেল, যে তথ্য সামনে এলো, তারপর স্পষ্ট হয়ে গেল যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবার ঝোড়ো ব্যাটিং চালাতে শুরু করেছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যেখানে মিডলম্যান বলে পরিচিত প্রসন্ন রায়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হলো।
সূত্রের খবর, এদিন ইডির পক্ষ থেকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মামলায় বড় দাবি করা হয়। যেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায় যে, এই দুর্নীতিতে মিডিলম্যান বলে পরিচিত প্রসন্ন রায়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তার তিনটি চা বাগান বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়াও বাংলো, গাড়ি, কারখানা সমেত প্রায় ২৭ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি বলেই খবর। আর এই খবর সামনে আসার সাথে সাথেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
বিরোধীদের দাবি, মিডলম্যান বলে পরিচিত এই প্রসন্ন রায়কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা চলছে। তাই তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতে এর সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত এবং এর পেছনে কোনো বড় মাথা রয়েছে কিনা, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। নিয়োগ দুর্নীতির নামে যে সর্বনাশ এই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে করেছে এই রাজ্যের সরকার, অবিলম্বে তার রহস্য ভেদ করতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বলে দাবি করছে বিরোধীরা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সাম্প্রতিক কালে ইডি বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে বারবার করে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলেছেন যে, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের একটা সেটিং রয়েছে। সেই কারণেই নিয়োগ দুর্নীতির মত ঘটনার তদন্তভাবে নেওয়ার পরেই ঠিক মত তদন্ত করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো। কিন্তু এবার সেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মামলার ক্ষেত্রে মিডিলম্যান বলে পরিচিত প্রসন্ন রায়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রীতিমত ঝোড়ো ব্যাটিং চালালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।