প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিরোধীরা যতই লাফালাফি করুক, ২০২৬ এর ভোটে কি হবে, তা এখন থেকেই বলা যাবে না। তবে বর্তমানে কিন্তু রাজ্যের মাঠে যদি সবথেকে বেশি রান নিতে পারে, তাহলে সেই দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। বাম, কংগ্রেস তো একেই অপ্রাসঙ্গিক। বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ঠিকই। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধেও মানুষের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এতই যখন বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, তাহলে রাজ্যের যে সমস্ত তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে রয়েছে, সেক্ষেত্রে রাঘববোয়ালদের কেন ধরা হচ্ছে না? তাহলে কি সেটিং রয়েছে বিজেপির ওপর তলার সঙ্গে তৃণমূলের ওপর তলার? এই সমস্ত প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। আর সেসবের মধ্যেই এবার যে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সেই সমর্থন নেই বললেই চলে, সেই উত্তরবঙ্গেরই এক হেভিওয়েট বিরোধী মুখ যোগদান করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

জানা গিয়েছে, আজ দুপুরেই মাটিগাড়া নকশালবাড়ির দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক, শংকর মালাকার যোগদান করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর সেখানেই কংগ্রেস ছেড়ে দাপুটে এই প্রাক্তন বিধায়ক ঘাসফুলের পতাকা নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন। আর এখানেই প্রশ্ন যে বাম-কংগ্রেস তো এই রাজ্যে না হয় অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু বিজেপি করছেটা কি? কেন তারা উত্তরবঙ্গের এত বড় মুখ তৃণমূল কংগ্রেসে গেলেও নিজেদের দলে তাকে টানতে পারলো না?

যদিও বা এসব নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, কে কাকে কোন দলে যোগদান করাবে, তাতে রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। উত্তরবঙ্গে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। তাই সেখান থেকে এখন এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিজেদের দলে টেনে নিয়ে এসে নিজেদের সমর্থন বাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ, সব জায়গাতেই তৃণমূল ব্যাপক ভোটে বিজেপির কাছে পরাজিত হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাজ্যে এখন বাম-কংগ্রেস বলে কিছু নেই। যা লড়াই হচ্ছে, তা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। এ কথা সত্যি, যে শঙ্করবাবুর একসময় প্রচন্ড দাপট ছিল উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে। কিন্তু কালের নিয়মে তিনি এখন অপ্রাসঙ্গিক। আর যারা তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাথা তুলে লড়াই করতে পারবে না, তারাই তাদের কাছে নতি স্বীকার করে কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য তাদের দলে যোগদান করবে। তাই টেলিভিশন মিডিয়ায় খবর করার জন্য হয়ত ঘটা করে যোগদান হবে। কিন্তু শংকর মালাকারের তৃণমূলে যোগদানে অন্তত ভোটের রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।