প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলাকে টার্গেট করে নির্বাচন কমিশন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। যা পক্ষপাত দুষ্ট বলেই অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে কমিশনের যে বিজ্ঞপ্তি, তার পরিপ্রেক্ষিতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। যেখানে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল আজ দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গোটা বিষয়টি নিয়ে তাদের প্রতিবাদ তুলে ধরবেন।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই বিহারে ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের যে বিজ্ঞপ্তি, তার ফলে ব্যাপক চিন্তা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে নিজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু আর মুখে প্রতিবাদ নয়, এবার সাংসদদের পাশাপাশি রাজ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে দিল্লিতে পাঠিয়ে গোটা বিষয়ে নিজেদের প্রতিবাদের সুরকে আরও চওড়া করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এদিন দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যাবেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশ চিক বরাইক এবং রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর এখানেই একাংশ বলছেন যে, পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর এবং কমিশনের সিদ্ধান্ত এতটাই চিন্তার ভাঁজ তৈরি করেছে তৃণমূলের মধ্যে যে, এখন সর্বভারতীয় স্তরের একটি বিষয়, অথচ সেখানে এতদিন সাংসদরাই গোটা বিষয় সামলাতেন। কিন্তু এবার রাজ্যের মন্ত্রীদের পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়ের গুরুত্ব এবং গাম্ভীর্যতা যে অনেকটাই, তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক। তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে এসব করে বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে। তাই আর মুখে প্রতিবাদ নয়, এবার কমিশনের দপ্তরে গিয়ে সাধারণ মানুষের হয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরবেন তৃণমূলের সাংসদ এবং মন্ত্রীরা।
যদিও বা তৃণমূলের এই সমস্ত বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সংবিধান, সমস্ত কিছু বিষয়কেই তৃণমূল এখন নিয়ন্ত্রিত করতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গের যে অবস্থা, তাতে নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে চায়। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলে তৃণমূল হেরে যাবে, এটা তারা খুব ভালো মতই জানে। সেই কারণে এখন নির্বাচন কমিশনকে দেখে তৃণমূল ভয় পেতে শুরু করেছে। তাই তৃণমূল তাদের বক্তব্য জানাতে কমিশনে যেতেই পারে। তবে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো ঔদ্ধত্য মোটেই কাঙ্খিত নয় বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।