প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ঘটেই চলেছে একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা। বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূল নেতাদের নাম সামনে আসছে। যার ফলে এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেস জর্জরিত। আর তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট রয়েছে জন্যেই রাজ্যে সুবিচার পাওয়া যায় এবং অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত বন্ধ হয় বলে দাবি করে বিরোধীরা। আর এসবের মাঝেই এবার সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হলো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। যার ফলে এবার অত্যাচারীদের দিন শেষ হয়ে আসছে বলেই আশাবাদী বিরোধী শিবির। কি ঘটনা ঘটেছে?
বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের বুকে প্রতিনিয়ত এমন কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, যার ফলে বারবার করে আদালতে পৌঁছে যাচ্ছে বিরোধীরা। তাদের একটাই বক্তব্য যে, প্রশাসনের কাছ থেকে সুবিচার পাওয়া যায় না। তাই আদালত ন্যায্য বিচার দিচ্ছে জন্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিচ্ছে হাইকোর্ট। আর এবার বিগত ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যে তিনজন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছিলেন, যার মধ্যে একজনের দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, সেই ঘটনায় মৃতের পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন আদালতের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় বড় নির্দেশ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত গোটা ঘটনায় সিবিআই এর যুগ্ম অধিকর্তাকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে গোটা ঘটনায় বর্তমানে জেলে থাকা শেখ শাহজাহানের নামও এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে রয়েছে। প্রথমে আদালতের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও, তাদের ওপর অনাস্থা দেখিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে যায় মৃতের পরিবার। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন বিচারপতির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ এবং সিট গঠন করে সিবিআই এর যুগ্ম অধিকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ সামনে আসতেই রীতিমত উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, এবার অপরাধীদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। কলকাতা হাইকোর্ট রয়েছে জন্যেই রাজ্যে একের পর এক ঘটনায় সুবিচার পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রেও সন্দেশখালিতে যেভাবে এতদিন ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল, এবার সেই ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত শুরু হবে। যারা অত্যাচারী, তারা কঠোর শাস্তি পাবে এবং শাহজাহান ও তার বাহিনীর মুখোশ খুলে যাবে। এতদিন যারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে কন্ঠনোধ করে মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, এবার শাসকের আশ্রয় থাকা সেই সমস্ত নেতারা জেলে যাওয়ার দিন গোনা শুরু করুন বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।