প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন যখনই যে দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সংঘর্ষ তৈরি হোক না কেন, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের সময়েও আগেভাগে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে পরিস্থিতি তিনিই সামলেছেন বলে ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করতেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এবার হোয়াইট হাউজের সামনে যে চিন্তা তৈরি হয়েছে, তা অত্যন্ত বিপদজনক। যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তিন দেশ অর্থাৎ চীন পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ জোটবদ্ধ হয়ে এগোনোর কথা ভাবছে। আর এটাই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশের সমস্যা বৃদ্ধি করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো বলে কি সেই তিন দেশ অর্থাৎ চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলো হোয়াইট হাউস?

জানা গিয়েছে, হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আর সেখানেই তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এশিয়া প্যাসিফিকের ভূকৌশলগত ক্ষেত্রে ভারত আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। আমাদের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্কও খুব ভালো।” তবে এখানেই থেমে থাকেননি হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব। ভারত আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, খুব দ্রুত ভারত, আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি হবে। সেটা সত্যি হতে চলেছে। ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাণিজ্য সচিবের কথা হয়েছে। আপাতত বাণিজ্য চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। সেটা চূড়ান্ত হয়ে গেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট।”

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দুই দেশ অর্থাৎ ভারত এবং আমেরিকার সহমত সামনে এসেছে। ওয়াশিংটনে ইতিমধ্যেই এই চুক্তি নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকেও আলোচনা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের প্রথমেই এই বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যেতে পারে। আর তার ফলে ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশের এমনিতেই সম্পর্ক ভালো। তার মধ্যে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একে অপরের সঙ্গে বেশ ভালো মতই বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন। সেক্ষেত্রে চীন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ যতই জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের পাল্টা জবাব দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের এই চুক্তি এই দেশগুলোকে অত্যন্ত চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।