প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬-এর নির্বাচনের আগে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি থাকবেন, নাকি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, এই নিয়ে একটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব চলছে বঙ্গ বিজেপির নেতাকর্মীদের মধ্যে। সকলেই চাইছেন, যা হবে, অন্তত তা দ্রুততার সহকারে হয়ে যাক। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বিজেপির নির্বাচন পদ্ধতিকে আরও তৎপরতার সঙ্গে ছেড়ে ফেলতে রবিশংকর প্রসাদের মত ব্যক্তিকে বাংলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই গুঞ্জন আরও বাড়তে শুরু করেছে যে, কে হবেন বঙ্গ বিজেপির নয়া সভাপতি; যার হাত ধরে ২০২৬ এর নির্বাচনী বৈতরণী পার হবে গেরুয়া শিবির? আর এবার সেই জল্পনাকে বাড়িয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বাড়িতে অত্যন্ত সুবক্তা বলে পরিচিত রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের আমন্ত্রণ পাওয়াকে কেন্দ্র করে রীতিমত জল্পনা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।
বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের মাঝেই সোমবার দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। কিন্তু কি কারণে তার এই দিল্লি সফর? জানা যায় যে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তার এই আমন্ত্রণ পাওয়া তো বঙ্গ বিজেপির তিনি বড় মুখ হতে পারেন, সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। তাহলে কি শমীকবাবুই হচ্ছেন রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি? এই সমস্ত প্রশ্নের মাঝেই একাংশ বলছেন যে, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে যারা বিদেশে গিয়েছিলেন, তাদেরকেই নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছেন জেপি নাড্ডা। তবে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তো বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও বিদেশে গিয়েছিলেন। তাদের সকলের সঙ্গেই তো প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবনে আলোচনা সেরে নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে এভাবে আলাদা করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাড়িতে আলোচনার কারণ কি? তাহলে কি এটা শুধুমাত্র খবর ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা? তলায় তলায় অন্য কোনো রসায়ন তৈরি হচ্ছে? আগেভাগে যাতে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হয়, সেটা কেউ জানতে না পারে, তার জন্যই কি এই সমস্ত খবর বাইরে ভাসিয়ে দিয়ে শমীক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠানো হয়েছে?
জানা গিয়েছে, আজকেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার আরও একধাপ এগোতে পারে। যেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যে রবিশংকর প্রসাদকে নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি যারা রাজ্য সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন, তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন। আর তারপরেই নির্বাচনের পর জানা যাবে যে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি কে হচ্ছেন! সেদিক থেকে আগেভাগেই শমীক ভট্টাচার্যের দিল্লি সফর এবং জেপি নাড্ডার বাড়িতে আমন্ত্রণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবথেকে বড় জল্পনার বিষয় যে, বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে? আর তখনই অত্যন্ত সুবক্তা বলে পরিচিত রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের এই দিল্লি সফর যে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একটা বড় উজ্জ্বল দিকের বার্তা বহন করে আনছে, সেই বিষয়ে কিছুটা হলে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ কোনো মুখ খোলেননি। তবে শেষ পর্যন্ত কার পাল্লা ভারী হয়, সুকান্ত মজুমদারই রাজ্য সভাপতি থাকেন, নাকি নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয় গেরুয়া শিবির, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।