প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতের অন্তত তিনটি জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার সাইফুল্লা খালিদ। সম্প্রতি পাকিস্তানে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। এটি একমাত্র ঘটনা নয়—’অপারেশন সিঁদুর’-এর পর থেকে পাকিস্তানের মাটিতেই একের পর এক জঙ্গি খুন হয়ে চলেছে, যারাই ভারতের জন্য হুমকি ছিল। খালিদের আগে নিহত হয়েছে মুহাম্মদ মুজাম্মিল, নাইমুর রহমান ও মৌলানা রহিম উল্লাহ তারিক—যারা প্রত্যেকেই মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ ছিল।

পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত পাকিস্তানে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানে। অপারেশন সিঁদুরে কমপক্ষে ১০০ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়। আর অন্যদিকে, পাকিস্তানের ভেতরেই এক রহস্যময় শক্তি একে একে হত্যা করছে ভারতের শত্রু জঙ্গিদের। এতদিন যাদের পাক পুলিসের নিরাপত্তা বেষ্টনী রক্ষা করছিল, এখন তারাই পরিণত হচ্ছে নিশানায়। কানাডা থেকে শুরু করে পাকিস্তান পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন জঙ্গি ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে।

গত রবিবার খুন হয় সাইফুল্লা খালিদ। তিনটি বড় হামলার মূলচক্রী সে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ১৬ মে, পাক পাঞ্জাবে খতম হয় আরেক লস্কর জঙ্গি। খালিদের মতোই, হাফিজ সইদের আত্মীয় মৌলানা কাশিফ আলিও গুলিতে ঝাঁজরা হয় খাইবার পাখতুনখাওয়ার নিজের বাড়ির সামনেই। বাইকে এসে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

এছাড়াও, গত বছর খাইবার পাখতুনখাওয়াতে খুন হয় জইশ জঙ্গি মুফতি ফায়াজ, লস্করের আবদুল্লা সাহিন, হাজি উমর গুল, হাবিবুল্লা, আদনান আহমদ ও ইউনূস খান। এই ধারাবাহিক হত্যার ঘটনায় পাকিস্তান দাবি করছে ভারতের হাত রয়েছে। কিন্তু ভারত সেই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। তবে পাকিস্তান নিজেও স্বীকার করতে পারছে না, এই মৃত্যুগুলোর নেপথ্যে রয়েছে আসলে কে।