প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধের আবহের পর থেকেই দুই দেশছর মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চলছে। কিন্তু পাকিস্তানের স্বার্থান্বেষী মনোভাব বারবার করে সামনে চলে আসছে। বুধবার শ্রীনগরগামী ইন্ডিগো বিমানের একটি ফ্লাইট চরম বিপদের মুখে পড়ে। যেখানে শিলাবৃষ্টির ফলে সেই বিমানে শুরু হয় ঝাঁকুনী। যার ফলে পরিস্থিতি এতটাই বিপদের মুখে পড়ে যায় যে, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য করা হয়।
পরবর্তীতে ইন্ডিগোর একজন পাইলট লাহোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে আবেদন করেন যে, পাকিস্তানের আকাশ সীমা যেন তাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। কিন্তু তখনই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাদের সেই আবেদন সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দেওয়া হয়। যার ফলে প্রবল হাওয়ার গতিবেগের ফলে সেই বিমানের নাক পর্যন্ত ভেঙে যায়।
আর পাকিস্তানের এই অমানবিক আচরণের ফলেই তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সামান্য তাদের আকাশ সীমা ব্যবহার করতে দিলে কি হত? পাকিস্তান কি তাহলে এটাই চাইছিল যে, এই বিমানে ক্ষতি হোক, তার ফলে যাত্রীদের প্রাণ যাবে, আর তাতে তারা আনন্দ উল্লাস করবে?
একাংশ বলছেন, কুচক্রীদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তান হাজার চেষ্টা করেও এই বিমানের যাত্রীদের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। তারা ভেবেছিল, তাদের আকাশ সীমা ব্যবহার করতে না দিলে হয়ত বিমানের যাত্রীদের প্রাণ এই সংশয় দেখা দেবে। কিন্তু পাইলটের তৎপরতার ফলে বিমানের সামনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এবং যাত্রীরা আতঙ্কিত হলেও, তারা বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্থানের ছ্যাচড়ামো এখনও অব্যাহত। তারা মুখেই সংহতির কথা বলে, কিন্তু দুটো দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। পাকিস্তান যদি তাদের আকাশ সীমা ব্যবহার করতে দিত ভারতকে, তাহলে হয়ত আজ বিমানের এই ক্ষতি হত না এবং যাত্রীদের মধ্যে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ত না। সামান্য সৌজন্যতা এবং ভদ্রতা টুকু যে পাকিস্তানের নেই, তাদের সঙ্গে আর কোনোদিন কখনোই মিত্রতার সম্পর্ক স্থাপন হতে পারে না।