প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিলো, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যেখানে ঐতিহ্যমন্ডিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সেখানকার সমস্ত রকম প্রবেশের ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে সেই সমস্ত পড়ুয়ারা এখন কোথায় যাবেন, কিভাবে নিজেদের পড়াশুনার কাজ চালাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম সংশয়। কিন্তু হঠাৎ কেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলো?
প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইনে হামলার পর থেকেই আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভকে সহ্য করতে না পেরে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে ঐতিহ্যমন্ডিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে তাদের মতামত জানায়। আর এবার সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আরও কড়া সিদ্ধান্ত নিলো প্রশাসন মার্কিন প্রশাসন।
এদিন এই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন পার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সচিব ক্রিস্টি নোয়েম। যেখানে তিনি লেখেন, “হিংসায় মদত দেওয়া, ইহুদি বিদ্বেষ ছড়ানোর মত অভিযোগ রয়েছে হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে। ক্যাম্পাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপ চলছে। সঠিক কাজ করার বহু সুযোগ ছিল হার্ভার্ডের কাছে। কিন্তু সেটা তারা করেনি। যেহেতু আইন মেনে চলছে না হার্ভার্ড, তাই বিদেশী পড়ুয়ারদের ভর্তি করা এবং স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জের অধিকার হারালো তারা।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগার। তিনি যে সমস্ত কাজ করছেন বা যে সমস্ত কথা বলছেন, তাতেই স্পষ্ট, তিনি ক্রমশ একনায়কতান্ত্রিক হয়ে উঠেছেন। কিছুদিন আগেই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহের পরবর্তী সময়কালে যখন সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ, তখন তিনি নিজে ক্রেডিট নিতে শুরু করেছেন। যার ফলে তার এই হামবড়া ভাব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। আর এবার দেশের মধ্যে থাকা ঐতিহ্যমন্ডিত বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসনের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞামূলক বিজ্ঞপ্তি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।