প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের দুর্নীতি থেকে শুরু করে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন কার্তিক মহারাজ। শাসকদলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। কিন্তু সম্প্রতি সেই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ওঠে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেই মহিলাও মুখ খুলেছেন। কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধেও দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। আর এই পরিস্থিতিতে শাসক দল যখন গোটা ঘটনা নিয়ে কার্তিক মহারাজ এবং বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সেই কার্তিক মহারাজ হিন্দুদের জন্য মুখ খোলার কারণে এবং রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের অনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণেই কি তাকে ফাঁসানোর জন্য এই চক্রান্ত শুরু হয়ে গেল! তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বলা বাহুল্য, কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন তৈরি হয়, তাহলে কি কার্তিক মহারাজের মুখ বন্ধ করার জন্যই তাকে ফাঁসানো শুরু হয়েছে? যদিও বা কার্তিক মহারাজ দাবি করেছেন, সত্যের জয় হবেই। আর এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি যে কথা বলেছেন, তার পরে আরও বেশি করে প্রশ্ন উঠছে যে, এই রাজ্যে তো পুলিশকে দিয়ে বিরোধী নেতা কর্মীদের কণ্ঠরোধ করার প্রক্রিয়া বারবার সামনে এসেছে। তাহলে কি কার্তিক মহারাজ শাসকের কাছে চাপের কারণ হয়ে যাচ্ছে বুঝেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয়ে গেল চক্রান্ত?

এদিন এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, “পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। কিন্তু একটা প্রশ্ন উঠছে, এতদিন যখন উনি চুপ ছিলেন, তখন কোনো অভিযোগ ওঠেনি। এখন যখন তিনি মুখ খুলেছেন, তখনই কেন অভিযোগ? এটা কি হিন্দুদের পক্ষে কথা বলার জন্য ফাঁসানোর কৌশল?” আর সুকান্তবাবু এই প্রশ্ন তোলার পরেই দুইয়ে দুইয়ে চার করতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, সুকান্তবাবুর কথা কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়। কারণ এই রাজ্যে এই প্রবণতা রয়েছে যে, যখনই যারা শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলবে, সেটা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি হোক বা ইউটিউবার, এমনকি সাধারণ মানুষ, তাদেরকেই পুলিশ দিয়ে যেভাবেই হোক, চক্রান্ত করে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা শুরু হয়ে যাবে। যদি সত্যিই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে এরকম কোনো অভিযোগ থাকবে, তাহলে এতদিন কেন পদক্ষেপ হলো না? তিনি সোচ্চার হচ্ছেন, হিন্দুদের একত্রিত হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন, তার জন্যই কি ভয়ে এখন তার কন্ঠরোধ করতেই শাসকের পক্ষ থেকে শুরু হয়ে গেল চক্রান্তের জাল বোনার কাজ? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।