প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বীরভূম জেলার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে একজন আইসিকে কুকথা বলেছেন এবং তার মা, বাউ তুলে অশ্লীল গালিগালাজ করেছেন, তারপর কেন তাকে এখনও ছেড়ে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্ন গোটা রাজ্যের মানুষের মধ্যে রয়েছে। আর তার মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। যেখানে সশরীরে তারা বীরভূমের পুলিশ সুপারকে এই ব্যাপারে দিল্লিতে তলব করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত দিনে সেখানে যেতে পারছেন না বলে জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি দিলেন বীরভূমের এসপি। যার ফলে মনে করা হচ্ছে যে, জাতীয় মহিলা কমিশনের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে। আর সেই কারণেই আপাতত চাপমুক্ত হতেই তিনি এই জাতীয় মহিলা কমিশনের ডাকে সাড়া দিতে চাইছেন না। তবে দিল্লিতে না যাওয়ার যে সমস্ত কারণ বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার ব্যাখ্যা করেছেন, তা শুধুমাত্র বাহানা ছাড়া আর কিছু নয় বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

বলা বাহুল্য, বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে যে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, তারপরেও তাকে পুলিশ ছেড়ে রেখেছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে যদি কোনো নিরপেক্ষ প্রতিবাদ করতে যান, তাহলে তো তাদের বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তাদের তুলে আনে। কিন্তু তৃণমূল নেতা বলেই কি তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে? এই সমস্ত প্রশ্ন সকলের মধ্যেই রয়েছে। তবে এই রাজ্যের পুলিশকে টাইট দিতে গোটা ঘটনায় বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপকে দিল্লিতে তলব করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত না যেতে পারার ক্ষেত্রে কারণ উল্লেখ করে বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানালেন বীরভূমের পুলিশ সুপার।

সূত্রের খবর, এদিন বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে, বেশ কিছু ঘটনা এবং হুল উৎসব চলার কারণে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত বীরভূমের পুলিশ সুপার এবং পুলিশ আধিকারিকরা ব্যস্ত থাকবেন। তাই সেই বিষয়টি মাথায় রেখে যাতে গোটা বিষয়টি বিবেচনা করা হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে। তবে বিরোধীরা বলছেন, এসব নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন নাকি অত্যন্ত শক্তিশালী! তাহলে বীরভূমের পুলিশ সুপার চলে গেলে গোটা পুলিশ প্রশাসন ভেঙে পড়বে কেন? আসলে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা দেওয়ার মত কিছু নেই বীরভূমের পুলিশ সুপারের। সেই কারণেই জাতীয় মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে এত ভয়ংকর ঘটনার পরে ডাকা হলেও, তাতে পাত্তা না দিয়ে উল্টে সময় চাইছেন বীরভূমের এসপি। তবে তাকে আর বিন্দুমাত্র সময় না দিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত জাতীয় মহিলা কমিশনের বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।