প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দীঘায় ঘটা করে একটা জগন্নাথ মন্দির করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বা সেটা মন্দির নয়, সেটা একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বলে প্রথম থেকেই দাবি করছে বিজেপি। বর্তমানে রেশন দোকানের মাধ্যমে সেখান থেকে আনা প্রসাদ ঘরে ঘরে বিতরণ করা হচ্ছে। যদিও বা সেই প্রসাদ জগন্নাথ দেবের নয়, এটা মুসলিম ধর্মাবলম্বী অনেক মানুষদের দোকান থেকে তৈরি হয়ে হালালির মিষ্টি হিসেবে মানুষের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। যা জগন্নাথ দেবের প্রসাদকে অপমানের নামান্তর বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার সেই জগন্নাথ দেবের প্রসাদ না নেওয়াতেই যেভাবে এক নিরীহ যুবককে মেরে তার মুখ দিয়ে রক্ত বের করে দেওয়া হলো, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, এইভাবে কি কেউ কারও ওপর জোর করতে পারে? যে যুবকের ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে, তিনিও একজন হিন্দু। কিন্তু তার মনে বিশ্বাস রয়েছে যে, যে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিলি করা হচ্ছে, সেটা প্রকৃত ভগবানের প্রসাদ নয়। আর সেই কারণেই তিনি বা অন্য কোনো কারণে তিনি এই প্রসাদ নিতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তারপর যেভাবে কয়েকজন জেহাদিরা মিলে সেই যুবকের ওপর হামলা চালিয়েছে, তা নিয়েই এবার গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিতরণের কাজ চলছিল। কিন্তু সেই সময় গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করে এই প্রসাদ নিতে অস্বীকার করেন পুলক কয়াল নামে এক যুবক। আর এর পরেই তৃণমূল আশ্রিত বেশ কিছু দুষ্কৃতী সেই যুবকের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যেখানে সেই যুবককে মোটা লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, সেই যুবকের নাক, মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে।
আর এই ঘটনার পরেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এবং জেহাদীদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একবারে নাম করে তিনি বলেন, “ইলিয়াস শেখ, রহিম মোল্লা, করিম মোল্লা এবং রহমান মোল্লা নামে চারজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এই হামলা চালিয়েছে। এরা সকলেই কাঠালবেড়িয়া গ্রামের বজরংবলী মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল।” আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, এই রাজ্যে কোনটা জগন্নাথ দেবের আসল প্রসাদ, আর কোনটা নকল প্রসাদ, সেটা সকলেই হয়ত বুঝতে পারছেন। আর সেটা ধরে ফেলাতেই কি তৃণমূলের জেহাদীদের এত রাগ হয়েছে? যার কারণে সঠিক জায়গায় প্রতিবাদ করার কারণেই এই নিরীহ যুবককে এইভাবে আক্রমণের মুখে পড়তে হলো?
বিজেপির দাবি, এই রাজ্যে হিন্দু সংস্কৃতি বিপন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন ক্ষমতায় আছেন এবং তার দল আছে, ততদিন জেহাদিরা পশ্চিমবঙ্গে বহাল তবিয়তে রাজত্ব চালাবে। দীঘায় যে জগন্নাথ মন্দির হয়েছে বলে তৃণমূলের নেতারা দাবি করছেন, সেটা আসলে কোনো মন্দির নয়, একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ভোট পাওয়ার জন্য সেখানকার প্রসাদ বাড়ি বাড়ি বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা যে কোনো মহাপ্রসাদ নয়, রহিম চাচার দোকান থেকে নিয়ে আসা হালালের মিষ্টি, এটা রাজ্যবাসী ধরে ফেলেছেন। আর সেই জায়গায় সঠিক প্রতিবাদটা করার কারণেই তৃণমূলের যারা জেহাদী দুষ্কৃতী, তাদের আক্রমণের মুখে পড়ে রক্তাক্ত হতে হলো এক যুবককে। ভবিষ্যতে এর মাশুল এই তৃণমূল সরকারকে দিতে হবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।