এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চাকরির দাবিতে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্না দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েও দমতে নারাজ টেট প্রার্থীরা!

চাকরির দাবিতে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্না দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েও দমতে নারাজ টেট প্রার্থীরা!

 

তারা তাদের দাবি থেকে যে সরবে না, তা আন্দোলন-বিক্ষোভের প্রথম দিকেই বোঝা গিয়েছিল। পরবর্তীতে এই আন্দোলন-বিক্ষোভের জন্য তারা গ্রেপ্তার হলেও নিজেদের দাবী থেকে সরল না। বস্তুত, গত 2014 সালের প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষার ফলাফল 2016 সালের নভেম্বরে প্রকাশিত হয়।

উত্তর দিনাজপুর জেলার উচ্চমাধ্যমিক 215 জন উত্তীর্ণ হলেও 110 জনের চাকরি হয়। তবে বাকিদের কেন চাকরি হল না, তার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা করেন সেই চাকরিপ্রার্থীরা। পরবর্তীতে আদালত এই ব্যাপারে নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

আর এরপরই গত রবিবার সকালবেলা সেই চাকরিপ্রার্থীরা গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ইসলামপুরের বাড়ির সামনে এসে ধরনায় বসে পড়েন। যাকে ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জানা যায়, এদিন মন্ত্রীর বাড়ির সামনে আন্দোলনকারীরা বসে থাকলেও মন্ত্রী একবার এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে যান। তবে তার পর তিনি আর আসেননি। এদিকে কোনভাবেই আন্দোলনকারীদের রাজ্যের মন্ত্রীদের বাড়ির সামনে থেকে সরানো না যাওয়ায় কড়া পদক্ষেপ নিতে হয় প্রশাসনকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে সেই আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, এদিন মোট 29 জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেও তারা তাদের আন্দোলন থেকে সরে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।

অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি সুবিচার চাইতে নিজেদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা মন্ত্রীর কাছে যেতে পারবেন না জনগণ! গেলেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে! এদিন এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী গোলাম রব্বানী বলেন, “ধরনা অফিসে বা দপ্তরে হয়। বাড়ির সামনে কেউ ধরনা দিতে পারে না। যারা ধর্নায় বসেছিলেন তারা এলাকার বাসিন্দা। তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি আছে। পুলিশ নিজের ডিউটি করেছে।”

একইভাবে এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, “নিয়োগের বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ব্যাপার, এটা মন্ত্রীর দেখার কথা নয়। এদিন যাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা আছে। তাদের সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। তাদের সরকারের সঙ্গে থাকা উচিত।”

কিন্তু গৌরাঙ্গবাবু থেকে গোলাম রব্বানী সাহেব যে কথাই বলুন না কেন, আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ দমাতে তাদের গ্রেপ্তার আদতে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠবে কিনা, এখন তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সকলেই। কেননা এই গ্রেপ্তার হওয়ার পরও যেভাবে আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য কথা বলতে শুরু করেছেন, তাতে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!