প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর অপারেশন সিদুর চালিয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছে ভারত। আর এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল ঠিক করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের কাছে পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য সেই প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল জাপান, ইন্দোনেশিয়া সফরে রয়েছেন। আর তার মধ্যেই এবার সেই প্রতিনিধিদল ফিরে আসার আগেই কেন্দ্রের কাছে বড় আবদার করা শুরু করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে মামাবাড়ির আবদার বলেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।
সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় জাতীয় পতাকার একটি ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “সর্বদলের প্রতিনিধিরা যে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে গোটা বিশ্বে ঘুরে ঘুরে সকলকে সবটা জানাচ্ছেন, তাতে আমি খুশি। আমি বারবারই বলেছি, তৃণমূল কংগ্রেস সব সময় এক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাশে থাকবে। দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই আমাদের কাছে সমর্থনযোগ্য। এবার আমি কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যে, সর্বদলের প্রতিনিধিরা বিদেশ ভ্রমণ সেরে ফিরে আসার পর সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। আমি মনে করি, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় খবরাখবর সবার আগে দেশবাসীর জানা উচিত।”
আর মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে এই আবেদনের পরেই তাকে পাল্টা খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে যখন অভ্যন্তরীণ কোনো ঘটনা ঘটে, তখন কি মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কিছু জানান? শুধু কি তাই, সামান্য প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধীদের আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানো হয় না। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এত সংকীর্ণ মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করে না জন্যেই পাকিস্তানের মুখোশ খুলার জন্য সমস্ত দলের প্রতিনিধিদের সেখানে রাখা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এত কিসের প্রমাণ চাই মুখ্যমন্ত্রীর? কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ অধিবেশন ডাকবে কি ডাকবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আগেভাগে ক্রেডিট নেওয়ার অভ্যাস এবং মামাবাড়ির আবদার অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।