প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে কাশ্মীরে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। তবে তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলের কাশ্মীর যাওয়ার পেছনে এবার সামনে এলো বড় কারণ। যে কারণ ব্যাখ্যা করে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম উড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কি সেই গোপন কারণ?
বলা বাহুল্য, গত মঙ্গলবার তৃণমূলের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জম্মু-কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মূলত, শুক্রবার পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন বলেই খবর। যে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন, নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, মমতাবালা ঠাকুর, মানস ভূঁইয়া। ইতিমধ্যেই সেই প্রতিনিধি দল জানিয়ে দিয়েছেন যে, সহানুভূতি এবং সহমর্মিতার জন্যই যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এই এলাকার মানুষ, তাদের সঙ্গে কথা বলতেই তারা সেখানে এসেছেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য সেটা মানতে নারাজ। তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের এই কাশ্মীর যাওয়ার পেছনে ভয়ংকর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের জম্মু-কাশ্মীর সফর নিয়ে কটাক্ষ করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গরম বলে এটা একটা ব্যক্তিগত সফর। কিন্তু জম্মু কাশ্মীরের আবহাওয়া আরও মনোরম। তাই পশ্চিমবঙ্গ বিরোধী, হিন্দু বিরোধী এবং বিশেষ করে যেহেতু তারা পশ্চিমবঙ্গে ভোট পায় না, তাই তাদের পশ্চিমবঙ্গে কোনো আগ্রহ নেই।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একদম ঠিক কথাই বলেছেন। তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলের জম্মু কাশ্মীরে যাওয়ার কোনো সারবত্তা নেই। কারণ দেশ দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। সঠিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে দেশ। সেখানকার মানুষকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের। তার মধ্যে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে, সেক্ষেত্রে দৃষ্টি না দিয়ে কাশ্মীরে গিয়ে মাতব্বরি করে নিজেদের খবরের শিরোনামে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। আসলে বাস্তব কথা হয়ত এটাই যে, পশ্চিমবঙ্গে প্রচন্ড গরম। তাই সেই গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য মনোরম পরিবেশে কিছুদিন সময় কাটানোর চেষ্টা করতেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের এই সফর।