প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুর্শিদাবাদের বেতবোনা-সহ আশেপাশের এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় হাইকোর্ট গঠিত তিন সদস্যের কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু বেতবোনাতেই ১১৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মালদহে আশ্রয় নেওয়া আক্রান্তদের জোর করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ। রিপোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র অসহযোগিতা এবং নিষ্ক্রিয়তার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই রিপোর্টে সরাসরি স্থানীয় কাউন্সিলর মেহবুব আলমের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই ওই এলাকায় হামলা হয়েছে। এমনকি পুলিশ সবকিছু দেখেও কোনও রকম পদক্ষেপ নেয়নি বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেহবুব আলম। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, “কে কী বলে দিলেই তো হবে না! প্রমাণ কোথায়? আমি তো গন্ডগোলের সময় প্রাণ বাঁচাতে নাদাবপাড়ায় লুকিয়েছিলাম। তাহলে কীভাবে আমি বেতবোনায় উপস্থিত থাকি? আমি তো একজনই মানুষ। একই সঙ্গে দুই জায়গায় কীভাবে থাকব?”

রিপোর্টে স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলামের নাম সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও, তাঁর তদারকির কথা বলা হয়েছে। আবার এক জায়গায় বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি হামলার পর এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন। ফলে তাঁর ভূমিকা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। গোটা ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট কী পদক্ষেপ নেয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।